Omicron Cases: ডেল্টা প্রজাতির চেয়ে করোনার ওমিক্রন প্রজাতি বেশি সংক্রামক। কিন্তু এই প্রজাতির থাবায় মৃত্যু এবং চিকিৎসাধীনের হার কম। গত এক সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৬ লক্ষ সংক্রমণ দেখেছে। গোটা বিশ্বের নিরিখে ৭ দিনে বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৯ লক্ষ। অর্থাৎ ২৫০% এবং ১৬৫% বৃদ্ধি দেখেছে বিশ্ব। কিন্তু সেই তুলনায় মৃত্যু মাত্র ১৩০০ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আর গোটা বিশ্বে ৬১০০। সাপ্তাহিক বিচারে মৃত্যুহার কমেছে ৩% এবং ৯%।
২৪ ডিসেম্বর সাউথ আফ্রিকায় এই প্রজাতি প্রথম উদ্বেগের কারণ হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু, সেই সময় দাবি করেছিল প্রায় ২৪টি মিউটেশন করেছে এই প্রজাতির স্পাইক প্রোটিন। ফলে, যথেষ্ট আশঙ্কা এবং উদ্বেগের কারণ এই প্রজাতি। দক্ষিণ আফ্রিকা জুড়ে সংক্রমণ বাড়লেও, চিকিৎসাধীন হওয়ার সংখ্যা কমে।
ওমিক্রন কী সত্যি মৃদু?
দক্ষিণ আফ্রিকার জামা নেটওয়ার্ক প্রকাশিত ওমিক্রন আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৪১.৩% রোগী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন হয়েছেন। কিন্তু ডেল্টার সময় এই শতাংশ ছিল প্রায় ৭০%। একইভাবে ওমিক্রন সংক্রমিত হিসেবে প্রায় ১৭.৬% মানুষের অক্সিজেন সাপোর্ট লেগেছে। কিন্তু ডেল্টা সংক্রমিত প্রায় ৭৪%-এর অক্সিজেনের চাহিদা ছিল।
এদিকে, বহুদিন ধরেই বুস্টার ডোজ নিয়ে চারিদিকে নানান গুঞ্জন। কেউ বলছেন এম রেনা ভ্যাকসিন তো কেউ বলছেন ভারতের নিজস্ব প্রিকওশন ডোজ – তবে ষাট ঊর্ধ্ব বয়সের মানুষদের জন্য অবশেষে প্রিকওশন ডোজ ধার্য করা হয়েছে। জানান হচ্ছিল দুটি ভ্যাকসিনের মিলিত ভার্সন নাকি একেবারেই ওমিক্রন রোধ করতে সক্ষম। সেই অনুযায়ী ভাবনা চিন্তাও করা হচ্ছিল, তবে এবার চিকিৎসকদের সাফ মতামত একেবারেই ডোজ কিংবা ওষুধ মেশানো যাবে না।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, একেবারেই কোনও মিশ্রণ নয় বরং একই ওষুধের ডোজ মিলবে বুস্টার হিসেবে। চিকিৎসক ভিকে পাল বলছেন, ভ্যাকসিন মেশানোর কোনও প্রশ্নই উঠছে না। এমনকি তাদের অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকেও এমন কোনও বক্তব্য আসেনি। অর্থাৎ যারা কোভিশিল্ড নিয়েছিলেন তারা এর একটি ডোজ পাবেন এবং যারা কোভ্যাক্সিন নিয়েছেন তারা এর একটি ডোজ পাবেন। তবে বিশেষ করে ব্লাড সুগার কিংবা ডায়াবেটিস অথবা অন্যান্য সহ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা আগে ভ্যাকসিন পাবেন।
কী জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?
মোটামুটি ওই ডোজ গুলি ছাড়াও, zycov-D, corbevax এবং covovax এগুলি পরবর্তীকালে নির্ধারিত তবে এখনই নয়। চিকিৎসক শুচিন বাজাজ বলছেন, মানুষ এখন রোগের সঙ্গে লড়তে শিখে গেছেন। পরবর্তীতে নিজেদের আত্মবিশ্বাস ক্রমশই বাড়বে এবং সকল ভ্যাকসিন কেই বুস্টার হিসেবে পরামর্শ দেওয়া হবে।
চিকিৎসক সুলাইমান লাধানি বলছেন, একই ভ্যাকসিন বুস্টার হিসেবে ভাল কারণ এটি নিউরোজেনিক প্রভাব হিসেবে বেশ কার্যকরী। নির্দিষ্ট সময়ের পর দেওয়া হলে ভালই অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে- সময় লাগে নয় থেকে বারো মাস।
মিশ্র ভ্যাকসিন আদৌ দেওয়া সম্ভব কিনা সেই নিয়ে পরীক্ষা করা দরকার। একেতেই সীমিত ভ্যাকসিনের পরিমাণ তারপরে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই এমন সময় এটি না করাই ভাল। বরং পরবর্তীতে গবেষণার পরেও এই কাজ করলে চলবে। অন্যান্য দেশে মিশ্র ভ্যাকসিনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে পড়তে থাকুন