Advertisment

ফের চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে মানুষ, কীভাবে চলছে প্রস্তুতি?

নাসা সর্বশেষ চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছিল ১৯৭২ সালে। প্রথম চাঁদে পা রাখেন নীল আমষ্ট্রং। চাঁদে প্রথম পা রেখেই পৃথিবীর উদ্দেশ্যে সেই বিখ্যাত বার্তা দিয়েছিলেন আমষ্ট্রং।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

১৯৭২ সালের পর ফের আবার চন্দ্রপৃষ্ঠে অভিযান চালাতে সবরকমভাবে প্রস্তুত হচ্ছে নাসা। বৃহস্পতিবার নাসা তার আর্টেমিস প্রোগ্রামের আউটলাইন প্রকাশ করেছে। ২০২৪ সালের মধ্যেই একজন পুরুষ এবং এই প্রথম মহিলাকে চন্দ্র পৃষ্ঠে প্রেরণ করার পরিকল্পনা করেছে। নাসা সর্বশেষ চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছিল ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো চন্দ্র মিশনের সময়।

Advertisment

আর্টেমিস প্রোগ্রামটি কী?

আর্টেমিস প্রোগ্রামের সঙ্গে নাসা নতুন প্রযুক্তি, ক্ষমতা এবং ব্যবসায়িক পদ্ধতিগুলি প্রদর্শন করতে চায় যা শেষ পর্যন্ত মঙ্গল গ্রহের অন্বেষণের জন্য প্রয়োজন হবে। প্রোগ্রামটি তিনটি ভাগে বিভক্ত, প্রথমটি বলা হয় আর্টেমিস প্রথমটি সম্ভবত পরের বছর চালু করা হবে এবং এসএলএস এবং অরিওন মহাকাশযান পরীক্ষা করার জন্য একটি অবিকৃত বিমানের সঙ্গে জড়িত। আর্টেমিস দ্বিতীয়টি প্রথম ক্রু বিমানের পরীক্ষা হবে এবং এটি ২০২২ সালের মধ্যেই হবে। আর্টেমিস ২০২২ সালে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নভোচারীদের অবতরণ করবে।

কেন আবার চাঁদে মানুষ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল নাসা?

চাঁদে গিয়ে বিভিন্ন উপাদান সংগ্রহ করাই হবে প্রধান কাজ। যেমন এক্সপ্লোরেশন গ্রাউন্ড সিস্টেমগুলি, স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস), ওরিওন (চন্দ্র মিশনের জন্য মহাকাশযান), গেটওয়ে (চাঁদের চারপাশে চন্দ্র আউটপোস্ট), চন্দ্র ল্যান্ডারগুলি (আধুনিক মানব অবতরণ ব্যবস্থা) এবং আর্টেমিস জেনারেশন স্পেসসুট - সমস্ত প্রস্তুত। এসএলএস নামে নাসার নতুন রকেট পৃথিবী থেকে চতুর্দিকে মিলিয়ন মাইল দূরে ওরিয়ন মহাকাশযানের উপরে মহাকাশচারীদের পাঠানোর কাজটি করবে।একবার মহাকাশচারীরা ওরিয়নে পৌঁছে গেলে সেখান থেকেই তারা চাঁদের চারপাশে কাজ করতে সক্ষম হবেন এবং মহাকাশযান থেকে চাঁদের পৃষ্ঠে অভিযান করবে।

নাসা এবং চন্দ্রাভিযান

১৯৬১ সালে প্রথমবারের জন্য মহাকাশে মানুষ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরপর সময় লাগে আটবছর। ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই অ্যাপোলো ১১ মিশনে প্রথম চাঁদে পা রাখেন নীল আমষ্ট্রং। চাঁদে প্রথম পা রেখেই পৃথিবীর উদ্দেশ্যে সেই বিখ্যাত বার্তা দিয়েছিলেন আমষ্ট্রং, বলেছিলেন, "দ্যাট ওয়ান স্মল স্টেপ ফর অ্যা ম্যান, ওয়ান জায়েন্ট লিপ ফর ম্যানকাইন্ড।" আজ তাই সেই লক্ষ্যেই ঝাঁপ দিচ্ছে নাসা।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

moon NASA
Advertisment