ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল বা প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ পরিষদ (DAC) ভারতীয় নৌবাহিনীকে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের জন্য ব্যয়ের অনুমতি (AoN) দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নৌবাহিনীর জন্য আনুমানিক ৩৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পরবর্তী প্রজন্মের কর্ভেট তৈরি অথবা কেনা। নৌযানগুলোর বৈশিষ্ট্য এবং আধুনিক নৌ-যুদ্ধে এর কার্যকারিতার কথা মাথায় রেখে এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
কর্ভেট কি?
কর্ভেট হল সবচেয়ে ছোট ধরনের জাহাজ। এটি যুদ্ধজাহাজের পর্যায়ে পড়ে। অত্যন্ত দ্রুতগামী। এই জাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র চালানো যায়। সাবমেরিনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যায়। উপকূলে টহলের কাজে লাগানো যায়। দ্রুত হামলাকারী নৌযান হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। কর্ভেট শব্দটি ফরাসি। ওলন্দাজ শব্দ থেকে এর উত্পত্তি। অষ্টাদশ এবং উনবিংশ শতকে সমুদ্র যুদ্ধে এই ধরনের জাহাজ ব্যবহার হত।
সেই সময় এগুলো পাল এবং মাস্তুলের সাহায্যে চালানো হত। এরপর বাষ্পচালিত নৌজাহাজ আসতেই এর ব্যবহার কমে আসে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, কর্ভেট বলতে সাবমেরিনের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত জাহাজকে বোঝানো হত। আধুনিক কর্ভেটগুলোর ওজন অবশ্য ২,০০০ টন পর্যন্ত হয়। খুব দ্রুত যাতায়াতের ক্ষেত্রে এগুলোকে কাজে লাগানো হয়।
আরও পড়ুন- ওষুধেই ভ্যানিশ ক্যানসার, নেপথ্যে জানুন আরও রহস্য!
ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে কোন ধরনের কর্ভেট আছে?
বর্তমানে ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে কামোর্তা শ্রেণির কর্ভেট আছে। যার অন্য নাম প্রজেক্ট ২৮। সাবমেরিনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই ছোট জাহাজগুলোর বিশেষ ভূমিকা আছে। কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স এই ধরনের কর্ভেটগুলো তৈরি করে। বর্তমানে ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে যে চার কামোর্তা শ্রেণির কর্ভেট আছে। সেগুলো হল আইএনএস কামোর্তা, আইএনএস কদমাট, আইএনএস কিলতান এবং আইএনএস কাভারত্তি। এর মধ্যে প্রথমটি ২০১৪ সালে নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়। আর, শেষটি ২০২০ সালে নৌবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হয়।
নতুন প্রজন্মের কর্ভেটগুলোর বিশেষত্ব কী?
পরবর্তী প্রজন্মের কর্ভেটগুলো নজরদারি চালানো, পাহারা দিয়ে নিয়ে যাওয়া, বিভিন্ন অভিযান, সংঘর্ষ, অনুসন্ধান, আক্রমণ-সহ উপকূলীয় প্রতিরক্ষার মত বিভিন্ন কাজে লাগানো হবে। আর, যে কর্ভেটগুলো এখন নৌবাহিনীতে আছে, সেগুলোকে সাবমেরিনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয় এবং হবে।
Read full story in English