বেশ কয়েকদিন হল পুরোনো পেনশন প্রকল্প বা ওপিএস বনাম নতুন পেনশন স্কিম বা এনপিএস নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এই নিয়ে কোনও সমাধানসূত্র বের হওয়ার পরিবর্তে বিতর্কের জেরে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ। দেখা যাচ্ছে যে কংগ্রেস এবং বিজেপি সমর্থকরা এই বিষয়ে হামেশাই বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছেন।
ওপিএস বা পুরোনো পেনশন প্রকল্পের বিরোধিতাকারীদের যুক্তি, এটা আর্থিকভাবে টেকসই নয়। কারণ, সরকারের কাছে এই জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ নেই। আর, এনপিএসের বিরোধিতাকারীরা এনপিএসকে রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল বলে অভিযোগ করেছেন। তাঁদের আবার অভিযোগ, এনপিএস মানুষের চাহিদা মোকাবিলায় ব্যর্থ।
এর মধ্যে কংগ্রেস চাইছে পুরোনো পেনশন প্রকল্প বা ওপিএসকে ফিরিয়ে আনতে। তবে, পুঁজিবাদী অর্থনীতিবিদদের ধারণা, কংগ্রেস ওপিএসকে স্রেফ রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জনের জন্য ফেরাতে চাইছে। কারণ, ওপিএসের কারণে সরকার ভবিষ্যতে আর্থিক ক্ষেত্রে বিপর্যস্ত হতে পারে। সেই কারণে পুঁজিবাদী অর্থনীতিবিদরা সরকারের ওপিএসে ফিরে যাওয়াকে খারাপ অর্থনীতির পাশাপাশি খারাপ রাজনীতির নমুনা বলেও দাবি করছেন।
আর, এক্ষেত্রে আরও একটা প্রশ্ন উঠে আসছে। তা হল, যাঁরা সরকারি কর্মচারী নন, পুরোনো পেনশন প্রকল্পে তাঁদের বঞ্চিত থেকে যাওয়া। পাঁচ বছরের নীচে এবং ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে মানুষের কার্যক্ষমতা থাকে না। পাঁচ বছরের নীচের শিশুদের যেমন ভরণপোষণের দরকার পরে। তেমনই ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বদের কর্মক্ষমতা চলে যাওয়ার পরও তাঁদের ভরণপোষণের দরকার হয়। এই ভাবনা থেকে পেনশন প্রকল্পের উদ্ভব।
আরও পড়ুন- কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিং আগেই ভারতভুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কেন ফিরিয়েছিলেন নেহরু?
এই পরিস্থিতিতে বর্তমানে মানুষের আয়ু বাড়ছে। তার ফলে পেনশন এবং বীমা কোম্পানিগুলোর আরও বেশি করে নগদ অর্থের প্রয়োজন হতে পারে। এতে সমস্যা বাড়বে বলে ভয় দেখাচ্ছেন পুঁজিবাদী অর্থনীতিবিদদের একাংশ। বিশেষ করে এই মতের সমর্থক ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক ফাইনান্স অ্যান্ড পলিসি বা NIPFP। যা আসলে ভারত সরকারের অর্থ মন্ত্রকের অধীনস্ত একটি স্বায়ত্তশাসিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এই পরিস্থিতিতে মার্সার সিএফএ ইনস্টিটিউট গ্লোবাল পেনশন সূচকের তাদের ২০২২-এর সংস্করণে ভারতের পেনশন ব্যবস্থাকে ৪৪টি দেশের মধ্যে ৪১তম স্থানে রেখেছে।
Read full story in English