/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/07/ie-WhatsApp-Image-2024-07-08-at-17.23.55.webp)
NEET-UG exam: নিট (NEET) প্রার্থীরা নয়াদিল্লিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের লনে বসে আছেন। এই বছরের পরীক্ষা বাতিল করার ব্যাপারে শুনানি ৮ জুলাই শুরু হয়েছে। (তাশি তোবগ্যালের এক্সপ্রেস ছবি)
SC hearing NEET-UG exam pleas: সুপ্রিম কোর্ট সোমবার (৮ জুলাই) ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট-আন্ডারগ্র্যাজুয়েট (এনইইটি-ইউজি) পরীক্ষা বাতিলের আবেদনের শুনানি শুরু করেছে। আবেদনকারীদের তালিকায় সেই প্রার্থীরা আছেন, যাঁরা মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন এবং দাবি করেছিলেন যে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। তাতে পরীক্ষা প্রভাবিত হয়েছে।
উচ্চশিক্ষা মন্ত্রকের বক্তব্য
কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের উচ্চশিক্ষার পরিচালক বরুণ ভরদ্বাজ ৪ জুলাই আদালতে একটি হলফনামা জমা দিয়ে বলেছেন যে কোনও 'বড় আকারের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের' প্রমাণ নেই। একইসঙ্গে ভরদ্বাজ বলেছেন যে, 'সম্পূর্ণ পরীক্ষা বাতিল করা যুক্তিসঙ্গত হবে না।' কারণ, ফলাফল ইতিমধ্যেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তিনি বলছেন, 'ফলাফল বাতিল করা হলে লক্ষাধিক সৎ প্রার্থী'র প্রতি অন্যায় করা হবে। তবে, একথা বললেও শিক্ষা মন্ত্রক ফলাফল বাতিলের আবেদনকারীদের অভিযোগ কিন্তু, খণ্ডন করেনি। এই পরিস্থিতিতে আদালত শচীন কুমার এবং ওআরএস বনাম দিল্লি অধস্তন পরিষেবা নির্বাচন বোর্ড (DSSSB) মামলার রায়কেই মাথায় রাখছে। ২০২১ সালের ওই মামলার বিচারপতি ছিলেন বর্তমানে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
২০২১ সালের মামলাটি কী ছিল?
২০১৪ সালের জুন এবং ২০১৫ সালের জুলাইয়ের মধ্যে, ডিএসএসএসবি দিল্লির জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে (জিএনসিটিডি) সরকারি পরিষেবা বিভাগে ২৩১টি 'হেড ক্লার্ক' শূন্যপদ পূরণের জন্য একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েছিল। এই পরীক্ষা দুটি স্তর নিয়ে গঠিত ছিল। একটি প্রাথমিক পরীক্ষা বা (টায়ার-১) এবং অপরটি প্রধান পরীক্ষা (টায়ার-২)।
আরও পড়ুন- হাথরস-কাণ্ডে প্রশাসনের আগাপাশতলা জড়িয়ে? সিটের রিপোর্টের পরই তোলপাড়, তীব্র চাঞ্চল্য
বোর্ডের পরীক্ষাগ্রহণ
দিল্লি অধস্তন পরিষেবা নির্বাচন বোর্ড (DSSSB)-এর ওই পরীক্ষায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর ৬২,০০০-এরও বেশি প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। বিজ্ঞাপন প্রকাশের অনেক পরে পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু, সেই বিলম্বের কোনও ব্যাখ্যা বোর্ড দেয়নি। তাদের পরীক্ষায় ২০১৪ সালে মাত্র ৮,২২৪ জন পরীক্ষার্থী টায়ার-১ পরীক্ষা দিয়েছিল। তার মধ্যে ৪,৭১২ জন প্রার্থী দিল্লির।
অনিয়ম ধরা পড়ে
এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার উভয়স্তরে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। যার মধ্যে রয়েছে প্রার্থীর হয়ে অন্য কারও পরীক্ষা দেওয়া, পরীক্ষা কেন্দ্রে একে অপরের কাছাকাছি বসে পরীক্ষা দেওয়া, পাশাপাশি উঠেছিল প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে, দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারা গঠিত একটি কমিটির রিপোর্টেও সেই অনিয়ম ধরা পড়ে।