Advertisment

নয়া নাগরিকত্ব আইন ১১ মাস আগের ক্যাব থেকে কোথায় আলাদা?

সদ্য আইনে পরিণত হওয়া এই বিল জানুয়ারি মাসে লোকসভায় পাশ হওয়া বিলের চেয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আলাদা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
CAA, CAB

উত্তর পূর্বের প্রতিবাদ (ছবি- দেবরাজ দেব)

বৃহস্পতিবার প্রায় মাঝরাতে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রক সরকারি নোটিফিকেশন জারি করে জানিয়েছে, নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এই বিলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, জৈন বা পার্সি ধর্মাবলম্বীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। যাঁরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে এসেছেন তাঁরাই এই সুযোগ পাবেন।

Advertisment

১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন বদলের জন্য ২০১৬ সালেও একটি ক্যাব আনা হয়েছিল। ২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি লোকসভায় সে ক্যাব পাশও হয়ে যায়। তবে ষোড়শ লোকসভা ভেঙে যাবার ফলে সে বিল তামাদি হয়ে গিয়েছিল।

আরও পড়ুন, আসাম চুক্তি কী? ক্যাবের সঙ্গে এর সম্পর্ক কোথায়?

সদ্য আইনে পরিণত হওয়া এই বিল জানুয়ারি মাসে লোকসভায় পাশ হওয়া বিলের চেয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আলাদা। এই তফাৎগুলি ব্যাখ্যা করেছে PRS Legislative Research। সেগুলি হল-

দেশের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় এর প্রয়োগ হবে

নয়া নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী তিনটি নির্দিষ্ট দেশ থেকে আগাত ৬টি ধর্মাবলম্বী মানুষ ভারতে প্রবেশের দিন থেকই ভারতের নাগরিক হবেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনি অভিবাসন বা নাগরিকত্ব নিয়ে চলা সমস্ত আইনি কার্যাবলী তাঁদের নাগরিকত্ব প্রাপ্তির সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সবে এ আইনে একটা বিশেষ ছাড় রয়েছে। এই নাগরিকত্ব আসামের উপজাতি এলাকা, মেঘালয়, মিজোরাম বা ত্রিপুরায় লাগু হবে না। তার কারণ এ জায়গাগুলি সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিলের অন্তর্ভুক্ত।

এর মধ্যে রয়েছে আসামের কার্বি আংলং, মেঘালয়ের গারো পাহাড়, মিজোরামের চাকমা জেলা এবং ত্রিপুরার জনজাতি এলাকা জেলা।

১৮৭৩ সালের বেঙ্গল ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রেগুলেশন অনুারে যেসব জায়গা ইনার লাইনভুক্ত, সেসব জায়গাতেও এই আইন লাগু হবে না। অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম এবং নাগাল্যান্ডে ভ্রমণ করতে গেলে ভারতীয়দের ইনার লাইন পারমিট প্রয়োজন হয়।

আরও পড়ুন, কেন ক্যাব প্রসঙ্গে বারবার উঠছে নেহরু-লিয়াকত চুক্তির কথা?

ইনার লাইন পারমিটের আওতাভুক্ত করা হয়েছে মণিপুরকেও। ফলে এখনকার পরিস্থিতিতে উত্তরপূর্বের চার রাজ্যে এই আইন লাগু হবে না।

নাগরিকত্বের স্বাভাবিক যোগ্যতা

মূল নাগরিকত্ব আইনে কোনও ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারতেন, যদি তিনি ভারতের বাসিন্দা হতেন বা গত ১২ মাস ধরে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি করতেন এবং গত ১৪ বছর সময়কালের মধ্যে অন্তত ১১ বছর ভারতে বাস করতেন।

লোকসভায় জানুয়ারি মাসে যে বিল পাশ হয়েছিল, তাতে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি, শিখ, খ্রিষ্টানদের এ ব্যাপারে সময়ের ছাড় দেওয়া হয়েছিস। এই গোষ্ঠীভুক্তদের ক্ষেত্রে ১১ বছর সময়কে কমিয়ে ৬ বছর করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন, ক্যাব বিতর্কে পশ্চিমবঙ্গ এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল কেন?

নয়া আইনে এই প্রক্রিয়ার সময়সীমা আরও কমানো হয়েছে। এই গোষ্ঠীভুক্তদের জন্য এবার আর ৬ বছর নয়, ৫ বছর সময়কাল ধার্য করা হয়েছে বলে PRS Legislative Research-এর বিশ্লেশণ জানিয়েছে।

Citizenship Bill Citizenship Amendment Act
Advertisment