টিকাকরণ চলছে কিন্তু এরই মাঝে ফের বাড়ল করোনার দাপট। মহারাষ্ট্র এবং দেশের পাঁচটি রাজ্যে ফের করোনা ভাইরাসের প্রাবল্য শুরু হয়েছে। ভারতের গত পাঁচ মাস ধরে অবিশ্বাস্যভাবে কমেছিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এখন যে রাজ্যে সংক্রমণ নতুন করে শুরু হচ্ছে সেখানেও কিন্তু একেবারে কমে গিয়েছিল করোনা সংক্রমণ। কিন্তু বর্তমানে দেশে সংক্রমণের মাত্রা ইতিমধ্যে এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে এটা স্পষ্ট যে দেশে হার্ড ইমিউনিটি এখনও হয়ইনি।
পরীক্ষার হার কিন্তু কমেনি। কিন্তু একসময় দৈনিক যে সংখ্যা নেমেছিল হাজারে তা এখন ফের পৌঁছল ১৪ হাজারে। লকডাউন পুরোপুরি উঠে যাওয়ার পর থেকেই স্বাভাবিক হচ্ছে বাংলা। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, চলছে কৃষি আন্দোলন। সেখানে নেই কোনও সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক পরার নিয়ম। সেরোসার্ভের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, দেশের জনসংখ্যার একটি বৃহত অংশ ইতিমধ্যে সংক্রামিত হতে পারে। পরীক্ষার মাধ্যমে যা সনাক্ত করা কঠিন। আগের থেকে সেই সংখ্যা কম হলেও সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে অনেকটাই।
উদাহরণস্বরূপ, দিল্লির সাম্প্রতিক একটি সেরোসার্ভেতে দেখা গেছে যে কমপক্ষে রাজধানীর কয়েকটি জায়গায় সংক্রমণের হার ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে দেশব্যাপী এমন কোনও সমীক্ষা নেই যা দেশের বৃহৎ অংশের জন্য তুলনীয় সংখ্যা দেখায়। উদাহরণস্বরূপ, তামিলনাড়ুতে সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে যে জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশই সংক্রামিত হতে পারে করোনা ভাইরাসে। করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলায় মহারাষ্ট্রের অমরাবতী ও অচলপুরে আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন জারি করল উদ্ধব ঠাকরের সরকার। সেইসঙ্গে পুণে ও নাসিকে জারি করা হয়েছে নাইট কার্ফু। দেশের অন্যান্য রাজ্যে করোনা সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও মহারাষ্ট্রে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।
সোমবার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪,১৯৯। ফলে এখনও পর্যন্ত দেশে মোট মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১,১০,০৫,৮৫০।
দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল থেকে নতুন রূপের বিস্তার বাড়ার আশঙ্কার মধ্যে কেরালা, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, ছত্তিশগড় ও মধ্য প্রদেশ – পাঁচটি রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে অনেকটাই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন