New crimes under the Bharatiya Nyay Sanhita: ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস), ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস) এবং গত ডিসেম্বরে পার্লামেন্টে পাস করা ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম (বিএসএ), ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি) ১৮৬০, ফৌজদারি কার্যবিধি (সিআরপিসি) ১৯৭৩ এবং ভারতীয় প্রমাণ আইন ১৮৭২-এর বদলে চালু হবে।
অমিত শাহ যা বলেছিলেন
স্বাধীনতার পর থেকে, ঔপনিবেশিক যুগের আইপিসি (যা ফৌজদারি আইনের উপাদান), সিআরপিসি (যা আইন প্রয়োগের পদ্ধতি) এবং প্রমাণ আইনে বেশ কিছু সংশোধন হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে জানিয়েছিলেন, নতুন আইন পাসের প্রয়োজন আছে। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, ন্যায় সংহিতা ভারতীয়দের জন্য ভারতীয়দের দ্বারা প্রণীত আইনের প্রতিনিধিত্ব করবে।
ঘুরিয়ে আগের আইনই
সরকার আগের আইনকে 'উপনিবেশকরণ'-এর হাতিয়ার বলে অভিযোগ করেছিল। আর, সেই কারণেই আইনের পরিবর্তন জরুরি বলে দাবি করেছিল। একইসঙ্গে সরকার জানিয়েছিল, ভারতের ফৌজদারি আইনগুলোকে অত্যাধুনিক করার প্রয়োজন আছে। একই সময়ে, আইনের খসড়া তৈরির জন্য মহামারি চলাকালীন পরামর্শ প্রক্রিয়া এবং সংসদের মাধ্যমে তাদের তাড়াহুড়ো পাস করার প্রয়োজন ছিল বলেও সরকার দাবি করেছে। যদিও, কিছু আইন বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে নতুন আইনগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করা হলেও, সেগুলো আগের আইনকে পুরোপুরি বদলায়নি।
নতুন অপরাধের ব্যাপারে বিএনএস
বিএনএস কয়েকটি নতুন অপরাধের কথা বলেছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ৬৯ ধারা। এই ধারায় 'প্রতারণামূলক উপায়ে' নিয়োগের মাধ্যমে যৌন মিলন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আইনে বলা আছে, 'যে কেউ, প্রতারণামূলক উপায়ে বা কোনও মহিলার সঙ্গে বিবাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পূরণ করার কোনও অভিপ্রায় ছাড়াই, ওই মহিলার সঙ্গে যৌন সঙ্গম করলে ১০ বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে।' পাশাপাশি, চাকরি বা পদোন্নতির মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, প্রলোভন, বা পরিচয় লুকিয়ে বিয়ে করাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন যে, এটা কিছু ক্ষেত্রে সম্মতিপূর্ণ সম্পর্ককে অপরাধের রূপ দিতে পারে। আর, 'লাভ জিহাদ'-এর ব্যাখ্যাকেই কার্যত স্বীকৃতি দিয়েছে এই আইন।
আরও পড়ুুন- ব্যাপক বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা! কোন বিমা কীভাবে বাঁচাতে পারে আপনার গাড়িকে?
গণপ্রহারের বিরুদ্ধে আইন
বিএনএস, ১০৩ ধারার অধীনে প্রথমবারের মতো জাতি, বর্ণ বা সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে গণপ্রহারের মাধ্যমে হত্যাকে পৃথক অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট ২০১৮ সালে, কেন্দ্রকে গণপ্রহারের জন্য একটি পৃথক আইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল। নতুন আইনটি এবার নিশ্চিত করবে যে গণপ্রহারের মাধ্যমে অপরাধ, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা আইনগতভাবে বিশেষ অপরাধের স্বীকৃতি পাবে।