New Delhi Donald Trump returns to power: নয়াদিল্লি ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরলে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার জন্য নতুন পথ নেবে। উইসকনসিনের মিলওয়াকিতে সদ্য সমাপ্ত হয়েছে রিপাবলিকান জাতীয় সম্মেলন। তার প্রধান বিষয় ছিল, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য দ্বিতীয় মেয়াদে আমেরিকার শাসনের নতুন গাইড হিসেবে 'সাধারণ বোধ'-এর ধারণা। ট্রাম্পের অধীনে রিপাবলিকান পার্টি বিভিন্ন বিষয়ে আমেরিকার ভূমিকাকে বদলে দিতে চাইছে। যেমন: মুক্ত বাণিজ্য, জোট, উন্মুক্ত সীমান্ত, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে মার্কিন সমর্থনের ধারণা। আর, এর ফলে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে, ইউরোপ ও এশিয়ায় মার্কিন মিত্রদের তুলনায় ভারত ভালো অবস্থানে থাকতে পারে। কারণ, ওই মিত্ররা ট্রাম্পের জমানায় আমেরিকা সঙ্গ ছাড়বে, এই ভয়ে এখন কাঁটা। তবে অবশ্য রিপাবলিকানরা আমেরিকাকে বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চায় না। আর, সেই কারণেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরলে নয়াদিল্লিকে কয়েকটি জিনিস করতে হবে বা সেদিকে নজর দিতে হবে।
প্রথম মেয়াদেই কিছু পরিবর্তন
এর মধ্যে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেই বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। যেমন, বাণিজ্য এবং চিনের সঙ্গে সম্পর্ক। তাতে, আমেরিকার মিত্ররা শঙ্কায় ভুগছিল। বাইডেন জমানায় আমেরিকা তার চিরাচরিত পথে ফিরতে চেষ্টা করেছে। তাতে মার্কিন মিত্ররা কিছুটা হলেও মনোবল ফিরে পেয়েছিলেন। কিন্তু, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে সেটা আর হবে না। এবার, ট্রাম্পের এজেন্ডা জোর দিয়ে সমর্থন করেছেন তাঁর সেকেন্ড ইন কমান্ড হতে চলা জেডি ভ্যান্স। যা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ট্রাম্প ফের ক্ষমতায় ফিরলে ঠিক কোন রাস্তা নিতে চলেছে আমেরিকা।
বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন
রিপাবলিকান কনভেনশন নিঃসংকোচে ট্রাম্পের বিশ্বায়ন বিরোধী ভাবনাকে সমর্থন করেছে। ট্রাম্প আউটসোর্সিং বন্ধ করতে চান। তিনি চান, 'আমেরিকাকে একটি উত্পাদনকারী সুপারপাওয়ারে পরিণত করতে।' এজন্য আমদানির ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করতে চান। তিনি সমস্ত আমদানিকৃত পণ্যের ওপর শুল্ক ১০% বাড়াতে চান। চিন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৬০% শুল্ক বসাতে চান। এভাবে আমদানি ব্যয়বহুল করে, মার্কিন রফতানি বাড়িয়ে ট্রাম্প ডলারের অবমূল্যায়ন রোখার কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশে বিক্ষোভকারীদের জয়! হাইকোর্টের রায় সুপ্রিম কোর্টে খারিজ
অভিবাসন এবং খোলা সীমান্ত
ভারতীয় অভিজাতরা ১৯৬০ সাল থেকে আমেরিকার উন্মুক্ত সীমান্ত নীতির প্রধান সুবিধাভোগী। কিন্তু অভিবাসন মার্কিন অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে একটি বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে ভারতীয়রা ভিসা সমস্যায় পড়তে পারেন। ট্রাম্পের জমানায় ভারত আমেরিকার বড় তেল কোম্পানিগুলো থেকে তেল সংগ্রহ করেছে। ফের আমেরিকা এবং ভারতের মধ্যে তেল কেনাবেচার সম্পর্ক তৈরি হতে পারে। যা ট্রাম্পের জমানায় ভারত-আমেরিকা সম্পর্কসূত্র বদলেরই ইঙ্গিত হয়ে উঠবে।