Advertisment

Pakistan-India: পাকিস্তানে গণতন্ত্র উধাও, প্রতিবেশীর সঙ্গে সমস্যা মেটাতে কার সঙ্গে কথা বলবে ভারত?

Pakistan-India: কথা বলতে হলে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল অসীম মুনিরের সঙ্গেই কথা বলা উচিত? কারণ, তিনি রাজনৈতিক নেতাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছেন। কিন্তু, সেটা কি ঠিক হবে?

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Imran Khan, Pakistan Election

Imran-PTI: শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের করাচিতে প্রাদেশিক নির্বাচন কমিশনের (ECP) বাইরে বিক্ষোভ চলছে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এবং ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দল জামাত-ই-ইসলামির (জেআই) পতাকার সঙ্গেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের একটি ছবি দেখা যাচ্ছে। এই সব ছবি আর পতাকা নিয়ে সমর্থকরা অবাধ ও সুষ্ঠু ফলাফলের দাবিতে একটি যৌথ বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। (ছবি- রয়টার্স/আখতার সুমরো)

Pakistan Situation: জেলবন্দি ইমরান খান পাকিস্তানের রাজনীতিতে বিনা ব্যাটে সেঞ্চুরি করেছেন। তাঁর দল পিটিআই (পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ) সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা পাকিস্তানের পার্লামেন্ট, জাতীয় পরিষদে সর্বাধিক আসন জিতেছে। নির্বাচিত ১০১ নির্দল প্রার্থীর মধ্যে বেশিরভাগই পিটিআই-সমর্থিত। পিটিআই পাকিস্তানে দুটি প্রধান প্রতিষ্ঠিত দলের চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। এই দুটি দলের পিছনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্ণ সমর্থন ছিল। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) ৭৫টি আসন পেয়েছে। ভুট্টো-জারদারি পরিবারের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫৪টি আসন।

Advertisment
  • নির্বাচিত ১০১ নির্দল প্রার্থীর মধ্যে বেশিরভাগই পিটিআই-সমর্থিত।
  • তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) ৭৫টি আসন পেয়েছে।
  • ভুট্টো-জারদারি পরিবারের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫৪টি আসন।

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ভোটে তার চূড়ান্ত যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, তাতে এমনটাই জানা যাচ্ছে। তিন দলের কেউই জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারেনি। এই ধরনের ফলাফল একটি উদ্বেগজনক প্রশ্ন উত্থাপন করেছে যে নয়াদিল্লি পাকিস্তানে এখন কার সঙ্গে কথা বলবে? বেসামরিক সরকারের সঙ্গে কথা বলা বৃথা হতে পারে। বাস্তব হল, কথা বলতে হলে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল অসীম মুনিরের সঙ্গেই কথা বলা উচিত। কারণ, তিনি রাজনৈতিক নেতাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছেন। সেই হিসেবে মে মাসে দিল্লিতে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর, কথা বলতে হলে রাওয়ালপিন্ডির সেনা দফতরই তাই ভরসা। এই পরিস্থিতিতে আলোচনার পথ পুনরায় চালু হলেও ভারতকে তার অবস্থানে অনড় থাকতে হবে।

আরও পড়ুন- চাষিদের ক্ষোভ প্রশমনে তাঁকে ‘ভারতরত্ন’, কীভাবে কৃষকদের ‘মসিহা’ হয়ে উঠেছিলেন চরণ সিং?

বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন শেষ হয়েছে। তারপর বেশ কয়েকদিন কেটে গেছে। কিন্তু, নির্বাচনে সেনার হস্তক্ষেপ আর কারচুপির অভিযোগে বিরাম পড়েনি। পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, একজন প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাতে হবে। কমপক্ষে ১৬৯ আসন পেতে হবে। আগামী দিনে যখন অধিবেশন ডাকা হবে, তখন এভাবেই আস্থা প্রমাণ করতে হবে। পাকিস্তানের আইনসভা ৩৩৬টি আসন নিয়ে গঠিত। যার মধ্যে ২৬৬টি আসনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবার অবশ্য ২৬৫টি আসনে ভোট হয়েছে। একজন প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সেই আসনে ভোট হয়নি। এর পাশাপাশি ৭০টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে। যার মধ্যে ৬০টি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। ১০টি সংরক্ষিত রয়েছে অমুসলমানদের জন্য। এবারের ২৬৫টি সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আসনের মধ্যে ২৬৪টির ফল ঘোষণা করেছে কমিশন। জালিয়াতির অভিযোগে একটি আসনের ফলাফল প্রকাশ স্থগিত রেখেছে। অভিযোগকারীদের অভিযোগের প্রতিকারের পর এই আসনে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

India army pakistan Election
Advertisment