চলতি বছরের জলবায়ু সম্মেলন 'COP27' হয়েছে মিশরে। এই সম্মেলনকে ঐতিহাসিক বলা হচ্ছে। কারণ, এই সম্মেলনে ঠিক হয়েছে যে তহবিল তৈরি করা হবে। যে তহবিলের সাহায্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে রক্ষা করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসছে। সেই বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলো। সেই ক্ষতি থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে রক্ষা করতে কাজ করবে এই তহবিল।
দীর্ঘদিনের দাবি
দীর্ঘদিন ধরে এমনটাই দাবি জানিয়ে আসছিল উন্নয়নশীল দেশগুলো। মিশরের বৈঠকের সিদ্ধান্তে সেই দাবি হয়তো কিছুটা হলেও মিটল। তবে, বিজ্ঞানের দৃষ্টি থেকে দেখলে মিশরের শারম আল-শেখের এই বৈঠক অর্ধেক চাহিদা পূরণ করেছে। কারণ, বিশ্বে কিছুতেই জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানো যাচ্ছে না। কারণ, শীত টিকছে না। গরম-বৃষ্টি সময় বদলাচ্ছে। যার জেরে চরম আশঙ্কায় বিজ্ঞানীরা।
বৈঠক ফলপ্রসূ?
তবে, জলবায়ু পরিবর্তনের বৈঠক যে পুরোপুরি ফলপ্রসূ হল না, সেটা কিন্তু, প্রথম না। গত ১৫ বছর ধরেই এমনটা চলছে। একটাই আশার কথা। জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে এখন গোটা বিশ্বে আলোচনা চলছে। কিন্তু, ওই পর্যন্তই। হাজারো আলোচনাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। জলবায়ু পরিবর্তন রোখা যায়নি। এক্ষেত্রে একমাত্র উল্লেখযোগ্য বিষয় বলতে প্যারিস চুক্তি। কিন্তু, এই চুক্তি প্রতিটি দেশকে তার সেরা চেষ্টাটুকু করতে বলেই থেমে গিয়েছে। তার বাইরে এগোতে পারেনি।
আরও পড়ুন- কেন আমরা সবাই ১ জানুয়ারি নতুন বছর উদযাপন করি?
লক্ষ্য ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বিশ্বের নেতৃত্ব স্থির করেছেন, আগামী দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বেঁধে রাখতে হবে। শারম আল-শেখের ফলাফল বলছে, বিশ্বব্যাপী গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ২০৩০ সালের মধ্যে ২০১৯-এর স্তর থেকে কমপক্ষে ৪৩ শতাংশ কমাতে হবে। যদি আগামী দিনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বেঁধে রাখতে হয়, তো সেটাই করতে হবে।
পরিবেশবিদদের আশঙ্কা
কিন্তু, ওই পর্যন্তই। মানে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু, তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোখার প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। প্রকৃতপক্ষে, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন এখনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার জেরে পরিবেশবিদদের আশঙ্কা, এবার তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২০১৯ সালের থেকেও বেশি হবে।
Read full story in English