/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/02/Seattle-City.jpg)
ক্ষমা সাওয়ান্ত ছবি- এএনআই
প্রথম মার্কিন শহর হিসেবে (২১ ফেব্রুয়ারি), জাতিগত বৈষম্যকে বেআইনি ঘোষণা করল সিয়াটেল। শহরের বর্ণবৈষম্য বিরোধী আইনে জাতিকেও অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব সিয়াটেলের নগর পরিষদের ভোটে গৃহীত হয়েছে। এই প্রস্তাব যিনি পেশ করেছিলেন, তিনি ক্ষমা সাওয়ান্ত। সিয়াটেল নগর পরিষদের সদস্য তথা, উচ্চবর্ণের হিন্দু। নগর পরিষদে ক্ষমার প্রস্তাব ৬-১ ভোটে গৃহীত হয়েছে।
It’s official: our movement has WON a historic, first-in-the-nation ban on caste discrimination in Seattle! Now we need to build a movement to spread this victory around the country ✊ pic.twitter.com/1mBJ1W3v6j
— Kshama Sawant (@cmkshama) February 22, 2023
ক্ষমা উচ্ছ্বসিত, সবাই নন
ভোটাভুটিতে তাঁর প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত ক্ষমা। তিনি প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছেন, 'অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হল। আমাদের আন্দোলন এক ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে। দেশে প্রথমে সিয়াটেলে জাতিবৈষম্য নিষিদ্ধ হল। এখন আমাদের এই আন্দোলন দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিয়ে জয়কে প্রসারিত করতে হবে।' যদিও হিন্দু-আমেরিকান ফাউন্ডেশন (এইচএএফ)-এর মত কিছু গোষ্ঠী এই আন্দোলন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ফাউন্ডেশনের অভিযোগ, 'বৈষম্য প্রতিরোধের নামে এবার হিন্দু আমেরিকানদের অতিরিক্ত আইনি তদন্তের মুখে পড়তে হবে।'
ক্ষমার প্রস্তাবে কী আছে?
সিয়াটল নগর পরিষদের এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, 'জাতপাত-ভিত্তিক বৈষম্য নিষিদ্ধর আইনটি নিয়োগ, মেয়াদ, পদোন্নতি, কর্মক্ষেত্রের শর্ত বা মজুরি, ব্যবসা-সহ সবক্ষেত্রেই লাগু হবে। এটি হোটেল, সরকারি পরিবহণ, সরকারি বিশ্রামাগার, খুচরো প্রতিষ্ঠানের মতো পাবলিক আবাসনের জায়গায় বর্ণবৈষম্য নিষিদ্ধ করবে। পাশাপাশি, আইনটি বাড়িভাড়া, হাউজিং লিজ, সম্পত্তি বিক্রয় এবং বন্ধকী ঋণের ক্ষেত্রে বর্ণবৈষম্যও নিষিদ্ধ করবে।'
আরও পড়ুন- বেশি পেনশন পাওয়ার কী সুবিধা দিয়েছে ইপিএফও?
আইন না-থাকায় ক্ষোভ ছিল
মূলত এই আইনটি জাতিবৈষম্যকে বর্ণ বা লিঙ্গবৈষম্যের মতই বৈষম্যের ভিত্তি হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। বর্তমানে এখানে জাতিবৈষম্য দূর করে সুরক্ষার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। সম্প্রতি, এনিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক সংবাদে সিয়াটল অফিস অফ সিভিল রাইটসের মুখপাত্র বলেছিলেন, 'আমাদের অফিস যদি শুধুমাত্র জাতিগত বৈষম্যের ওপর ভিত্তি করে কোনও অভিযোগ পায়, তবে এনিয়ে আমরা কোনও তদন্ত করতে পারব না।' গত সন্ধ্যায় প্রস্তাব পাশ হওয়ায় এবার এনিয়ে যাবতীয় ক্ষোভ মিটে গেল। যদিও এখনও অনেকে এর কার্যকারিতা নিয়ে সন্দিহান।