ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং, পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেসের একসময়ের নেতা। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক কেরিয়ারের গোধূলিতে ট্র্যাক বদলানো, অমরিন্দরের এই পদক্ষেপে কী বদল ঘটতে চলেছে পঞ্জাবে? পঞ্চনদের রাজ্যে বদলাতে পারবেন তিনি বিজেপির ভাগ্য?
অমরিন্দরের বর্তমান পরিস্থিতি
৮০ বছর বয়সি অমরিন্দর সিংয়ের জন্য, বিজেপিতে যোগদান তাঁকে একটি নতুন রাজনৈতিক জীবন দেবে। কারণ, সাম্প্রতিক পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের পরে তিনি রাজনৈতিক প্রান্তরে চলে গিয়েছেন। পঞ্জাবে আপ ক্ষমতায় এসেছে। নির্বাচনের জন্য তিনি যে রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেই পঞ্জাব লোক কংগ্রেস (পিএলসি)-এর সব প্রার্থীই বিশ্রীভাবে হেরে গেছেন। অমরিন্দরকেও ব্যাপক ভোটে হারতে হয়েছে।
ব
ব্যক্তিগত বা পারিবারিক লাভ
যদিও অমরিন্দরের বয়সের জন্যই নির্বাচনী রাজনীতিতে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা থাকার সম্ভাবনা কম। তবে, তাঁর মেয়ে জয় ইন্দার কৌর, পাতিয়ালায় রাজনীতি করেন। তিনি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন। অমরিন্দরের ঘনিষ্ঠ এক নেতা জানিয়েছেন, বিজেপি নেতৃত্ব পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপাল বা লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসাবে নিয়োগ করতে পারে। অথবা রাজ্যসভার সদস্য করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করতে পারে।
বিজেপির প্রত্যাশা
অমরিন্দরের যোগদানে পঞ্জাবে বিজেপির কিছু শিখ ভোট বাড়বে। অমরিন্দরের মতাদর্শ, জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে বিজেপির মিল রয়েছে। বিজেপি তো পঞ্জাবের হিন্দু ভোট পাবেই। সঙ্গে শিখ ভোটটাও জিততে গেলে এবার তাদের দরকার। বিজেপি তার 'জাতীয়তাবাদী' মতাদর্শকে সামনে রেখে লাগাতার অভিযোগ করে চলেছে, পাকিস্তান পঞ্জাবে অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে। এজন্য পঞ্জাবে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং মাদক প্রবেশ করাচ্ছে। এবার অমরিন্দরও সেই সুরে গাইতে শুরু করবেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও তিনি সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছেন।
আরও পড়ুন- ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে মার্কিন ডলার, এর কী প্রভাব পড়ছে?
উল্টানো পার্শ্ব
তবে, অমরিন্দর বিজেপিকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন কি না, সেই ব্যাপারে বিজেপি কর্মীরা নিশ্চিত নন। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পঞ্জাবে ক্যাপ্টেনের একটি প্রভাব ছিল। তিনি যে কংগ্রেস দলের সঙ্গে ছিলেন তার হাইকমান্ড তাঁকে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে অপসারণ করেছিল। অথচ, পঞ্জাবে কংগ্রেসের ২০১৭ সালের জয়ের জন্য অমরিন্দরের ক্যারিশমাই বড় ভূমিকা পালন করেছিল। তার আগে ২০০২ এবং ২০০৭ সালের মধ্যে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রতিবেশী রাজ্যগুলির সঙ্গে একতরফা জল-বন্টন চুক্তি বাতিল করে 'পঞ্জাবে জলের ত্রাণকর্তা' হওয়ার কৃতিত্বও তিনি অর্জন করেছিলেন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বাদলদের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা নিয়েও প্রশংসিত হয়েছিলেন অমরিন্দর। কিন্তু, ২০১৭ সালে ফের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর আর সেই পুরোনো অমরিন্দরকে খুঁজে পাননি তাঁর সতীর্থরাই।
Read full story in English