সোমবার লোকসভায় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (সংশোধনী) বিল ২০১৯ পাশ হয়েছে। তার আগে এ নিয়ে উত্তপ্ত বাদানুবাদ হয় অধিবেশনে। সরকারের বক্তব্য সংশোধিত বিলের ফলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। উল্টোদিকে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলির বক্তব্য এতে ভারতকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হচ্ছে।
২০০৯ সালে মুম্বই হামলার পর এনআইএ তৈরি হয়। এ ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন ১৬৬ জন।
এনআইএ (সংশোধনী) বিলে কী বদল আনা হচ্ছে?
তিনটি বড়সড় সংশোধনী আনা হচ্ছে এই বিলে।
প্রথম বদল কোন ধরনের অপরাধের তদন্ত ও অভিযোগ করতে পারবে এনআইএ। বর্তমান আইনে এনআইএ পরমাণু শক্তি আইন, ১৯৬২ এবং ১৯৬৭ সালের ইউএপিএ-র আওতায় ঘটা অপরাধের তদন্ত করতে পারে।
বর্তমান সংশোধনীর ফলে এ ছাড়াও এনআইএ মানব পাচার, জাল নোট, নিষিদ্ধ অস্ত্র তৈরি ও বিক্রি, সাইবার সন্ত্রাস এবং বিস্ফোরক আইন, ১৯০৮-এর আওতায় ঘটা অপরাধের তদন্ত করতে পারবে।
দ্বিতীয় বদল এনআইএ-র আওতায়। বর্তমান আইনে এনআইএ আধিকারিকদের অন্য পুলিশ আধিকারিকদের মতই ক্ষমতা থাকবে, এবং তা থাকবে সারা দেশ জুড়েই।
এই বিলের সংশোধনী অনুযায়ী এনআইএ আধিকারিকরা ভারতের বাইরে ঘটা অপরাধেরও তদন্ত করতে পারবেন। তবে এনআইএ-র ক্ষমতা নির্দিষ্টায়িত থাকবে আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং অন্য দেশের নিজস্ব আভ্যন্তরীণ আইনানুযায়ী।
তৃতীয় বদল বিচার সম্পর্কীয়। বর্তমান আইনানুসারে কেন্দ্র এনআইএ-র মামলা বিচারের জন্য বিশেষ আদালত স্থাপন করতে পারে। নতুন বিলে কেন্দ্রীয় সরকার দায়রা আদালতকেও এ ধরনের বিচারের জন্য নিয়োজিত করতে পারবে।
Read the Full Story in English