Bihar Election: বিজেপি ২০১৯ সালে বিহারে ৪০টির মধ্যে মাত্র ১৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, সবকটিতেই জিতেছিল। এবার যদি গেরুয়া শিবির বিহারে ৩৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, তবে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে।
Bihar Election: বিজেপি ২০১৯ সালে বিহারে ৪০টির মধ্যে মাত্র ১৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, সবকটিতেই জিতেছিল। এবার যদি গেরুয়া শিবির বিহারে ৩৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, তবে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে।
Nitish kumar-Bihar: এনডিএতে নীতীশ কুমারের পদক্ষেপ বিজেপির পক্ষে ভালো না-ও হতে পারে। (এক্সপ্রেস ফাইল ছবি)
Nitish Kumar-BJP: এনডিএতে নীতীশের ফিরে আসা বিজেপির পক্ষে ভালো না-ও হতে পারে। বিহারে জাত সমীক্ষার স্থপতি নীতীশ কুমার। তিনিই সেই ব্যক্তি, যিনি ২০২৪ সালে বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীদের জাত শুমারির আহ্বানকে তুলে ধরছিলেন। সামাজিক ন্যায়বিচারের দাবিকে জোরালো করেছিলেন। শুধু তাই নয়। নীতীশ বিরোধীদের (ইন্ডিয়া) ব্লকের প্রথম বৈঠকে সভাপতিত্বও করেছিলেন। ওই বৈঠক ২০২৩ সালের জুনে পাটনায় হয়েছিল। নীতীশ সামাজিক ন্যায়বিচারের ধুনো তুলে হিন্দুত্বকে মোকাবিলা করার চেষ্টা করেছিলেন। যে নীতি গ্রহণ করেছিল বাকি বিরোধী দলগুলো। এটি এমন একটি কৌশল, যা ১৯৯০ দশকের গোড়ার দিক থেকে বিহারে রীতিমতো কার্যকরী ফল দিচ্ছে। এর আগে মুলায়ম সিং যাদব ও মায়াবতীর জোট এই কায়দায় হেঁটেই ১৯৯৩ সালে বিজেপিকে ক্ষমতায় আসতে বাধা দিয়েছিল। কিন্তু, বিজেপি কর্পুরী ঠাকুরকে 'ভারতরত্ন' দেওয়ার কথা জানানোর পরই নীতীশ বিজেপির বিরুদ্ধে জাতপাত ইস্যুতে সমালোচনা কমিয়ে দেন।
Advertisment
আদর্শগত লড়াই এবং নীতীশ যে আদর্শগত লড়াই এবং ধর্মনিরপেক্ষতা ১৯৭০ থেকে পাঠ্যপুস্তকের অংশ ছিল, তা ধাক্কা খেয়েছিল ১৯৯০-এর দশকে। কংগ্রেস এই আদর্শগত লড়াইয়ের জন্য দীর্ঘদিন ধরে লড়ছে। দলের সেই ভাবমূর্তিই ধাক্কা খেয়েছিল ১৯৯০-এর দশকে। কারণ, 'সাম্প্রদায়িক' বা হিন্দুত্বের দৃষ্টিভঙ্গি কংগ্রেসের মধ্যেও রয়েছে। এই অভিযোগ উঠে আসে ১৯৯০-এর দশকে। আর, সেই সময়ই নীতীশ কুমার বুঝিয়ে দেন, এনডিএ আর কংগ্রেসের জোটের মধ্যে খুব বেশি আদর্শগত ফারাক নেই। তিনি ইচ্ছেমতো এনডিএ থেকে বিরোধীদের কাছে গিয়েছেন। আবার, বিরোধীদের শিবির থেকে এনডিএতে ফিরে এসেছেন। আর, এক্ষেত্রেই প্রশ্ন উঠে এসেছে, আজকের রাজনীতিতে কি আদৌ 'ধর্মনিরপেক্ষ-সাম্প্রদায়িক' দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে?
রবিবার পাটনায় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিহারের রাজ্যপাল রাজেন্দ্র আরলেকার, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী ও বিজয়কুমার সিনহা। (পিটিআই)
Advertisment
সম্প্রতি বিরোধী শিবিরে নীতীশের ভূমিকা গত জুনে নীতীশ কুমার, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য পাটনায় বিরোধী বৈঠকের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ওই বৈঠকে ১৭টি বিরোধী দল অংশ নিয়েছিল। সেখানে টিএমসি প্রধান এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন, পাটনা থেকে যা শুরু হল, তা একটি জন আন্দোলনে পরিণত হবে। ছয় মাস পরে, সেই ভূখণ্ড (ইন্ডিয়া জোট) স্থানান্তরিত করলেন নীতীশ। সেদিনের বৈঠকে তিনি সভাপতিত্ব করেছিলেন। এখন তিনি ফের এনডিএতে। আর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলছেন, টিএমসি পশ্চিমবঙ্গের সব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। আপ বলেছে যে তারা পঞ্জাবে একা লড়বে। অখিলেশ যাদব আবার কার্যত একা লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন। মায়াবতী তো চুপ হয়েই আছেন। আর, বিহারে বিরোধী ঐক্য ভেঙে পড়েছে।