পশ্চিম বঙ্গে লোকসভা ভোটে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের পথ মোটামুটি আলাদাই হয়ে গেল। এর ফলে লাভের ক্ষীর খেতে চলেথে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। দু দলের আসন সমঝোতা ব্যর্থ হওয়ায় চতুর্মুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলে সবচেয়ে বেশি লাভ হবে হবে তৃণমূলের, তার পর বিজেপি-র।
গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ছবি নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে এবং সে বদলের সুফল পেয়েছে এই দুটি দলই। তৃণমূল কংগ্রেস গ্রামীণ এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখেছে, অন্যদিকে উপনির্বাচনে দু নম্বরে উঠে এসেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন, কারাত-বুদ্ধের পথেই বিমান
এই দু দলেরই ভোট শেয়ার বেড়েছে, তারা ভাগ বসিয়েছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের ভোট শেয়ারে। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের পর থেকে সিপিএম ও কংগ্রেস আলাদা লড়েছে। এবং প্রতিটি উপনির্বাচনে তারা তাদের ক্ষয় হয়েছে। যে কারণেই এই দুই দল নির্বাচনী সমঝোতায় প্রবেশ করে।
২০১৪ লোকসভা ভোটে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে একটি শক্তি হিসেবে উঠে আসে, যার পিছনে ছিল নরেন্দ্র মোদী হাওয়া। সেবার তারা রাজ্যে সর্বোত্তম ফল করে, মোট ভোট পায় ১৬.৮ শতাংশ। এর আগে তাদের সেরা পারফরম্যান্স ছিল ১৯৯১ সালের লোকসভা ভোটে, সেবার তারা পেয়েছিল ১১.৬৬ শতাংশ ভোট।
১৯৯৮ সালে জন্মের পর থেকে সেরা পারফরম্যান্স দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসও। ৪২টির মধ্যে ৩৪টি আসন জিতেছিল তারা। দলের পক্ষে এই ফল ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, মাথায় রাখতে হবে মাত্র তিন বছর আগে তারা পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এসেছিল। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩৪ বছরের বাম জমানা শেষ করে দেন।
অন্যদিকে ২০১৪ সালের নির্বাচন সিপিএম এবং কংগ্রেসের কাছে ছিল ব্যাপক পরাজয়। প্রথম পক্ষ জেতে দুটি আসন এবং দ্বিতীয় পক্ষ চারটি। এই পরিস্থিতি গত চার বছরেও বদলায়নি। ২০১৪ সালে পৃথক ভাবে ভোটে লড়েছিল তারা। ২০১৬ সালে এই দু দল নির্বাচনী সমঝোতা করে, যার সুফল পেয়েছিল তৃণমূলই, রাজ্যের ২৯৪টি আসনের মধ্যে ২১১টি আসনে জিতেছিল তারা।
বিজেপি সেবার মাত্র ৬টি আসনে দ্বিতীয় স্থান লাভ করে। কিন্তু এবারে চতুর্মুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, তৃণমূল ও বিজেপি আবার সুবাতাস পেতে চলেছে, তাতে সন্দেহ নেই।
Read the Full Story in English