সোমবার সন্ধেবেলা ইতালিতে যাতায়াতের উপর নিয়ন্ত্রণ কার্যকর হয়েছে এবং জনসমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। করোনাভাইরাস আটকাতে প্রথম ইউরোপিয় দেশ হিসেবে এই পদক্ষেপ করেছে ইতালি।
ইতালিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৪৬৩ ছুঁয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জিউয়েসেপ্পি কোন্তে সংকটের যে আর্থিক প্রভাব তা প্রতিরোধে বিশালকারের শক থেরাপি নেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এক টুইটে ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ইতালির ভবিষ্যৎ আমাদের হাতে। আমরা সকলেই আমাদের কাজটুকু করব, সকলের ভালোর জন্য কিছু পরিমাণ আত্মত্যাগ করব। আমাদের প্রিয়জন, আমাদের বাবা-মা, আমাদের সন্তান, আমাদের দাদু ঠাকুমার স্বাস্থ্য এখন সুতোয় ঝুলছে।”
Il futuro dell’Italia è nelle nostre mani. Facciamo tutti la nostra parte, rinunciando a qualcosa per il bene della collettività. In gioco c’è la salute dei nostri cari, dei nostri genitori, dei nostri figli, dei nostri nonni. Ho appena firmato il decreto #iorestoacasa pic.twitter.com/Cagtzf7hnQ
— Giuseppe Conte (@GiuseppeConteIT) March 9, 2020
ইতালিতে এখনও পর্যন্ত ৯১৭২ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত, এর মধ্যে রয়েছে মঙ্গলবারের ১৫৯৮ টি নতুন ঘটনাও।
করোনা আক্রান্তদের কী ওষুধ দেওয়া হচ্ছে?
ইতালিতে কী হচ্ছে
যাতায়াত কমানোর জন্য এবং জনস্থানগুলি খালি করবার ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছে ইতালি। দেশের সবচেয়ে ধনী জায়গা উত্তর লোম্বার্ডি এলাকায় পৃথক করার কাজ আগেই হয়েছিল, তা এবার সারা দেশে কার্যকর হচ্ছে।
লোকজনকে বলা হয়েছে, কেবলমাত্র কাজ ও স্বাস্থ্য জনিত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তাঁরা যেন আগামী তিন সপ্তাহ বাড়ি থেকে না বেরোন। এই পরিস্থিতিতে যদি কেউ ভ্রমণ করতে চান, তাহলে তাঁকে কারণ দেখিয়ে অনুমতি চাইতে হবে এবং ভ্রমণের সময়ে নথি সঙ্গে রাখতে হবে। যে সব ইতালিয়রা দেশ ছাড়তে চান, তাঁদের একই পদ্ধতি মেনে চলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, বিদেশিরা ইতালিতে আসতেই পারেন।
আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সমস্ত স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। কোনও প্রকাশ্য অনুষ্ঠান, খেলাধুলো, বড় সমাবেশ নিষিদ্ধ। বার ও রেস্তোরাঁ সন্ধে ৬টায় বন্ধ করতে হবে। যেসব দোকান খোলা থাকবে, সেখানে গ্রাহকদের একে অপরের থেকে অন্তত ১ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। অল্পবয়সীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “নাইটলাইফ আমরা আর অনুমোদন করতে পারছি না।”
‘We don’t need no water’: Italy’s #Dozza prison on fire as protests continue over #coronavirus measures#COVID2019 pic.twitter.com/Wz0crhTTj2
— RT (@RT_com) March 10, 2020
নিষেধাজ্ঞা ঘোষিত হবার পর রোমের লেট নাইট সুপারমার্কেট গুলিতে ক্রেতারা পড়িমরি করে খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য ভিড় জমান বলে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছেন।
করোনাভাইরাস সঙ্কট: বিদেশে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান কি বাতিল করা উচিত?
জেলগুলিতে ভিজিট বন্ধ করা ও দিবা-মুক্তির কর্মসূচি বন্ধ হবার ব্যাপারে আদেশ জারির পর সারা দেশের মোট ২৭টি কারাগারে দাঙ্গাহাঙ্গামা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই হাঙ্গামায় ৬ জন বন্দির মৃত্যু হয়েছে।
দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও দেশের বয়স্ক জনগোষ্ঠীর কাছে বেঁচে থাকাই এখন ঝুঁকির বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী কোন্তে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন