লকডাউনের মধ্যে 'ঘরের ছেলেরা ঘরে ফিরতেই' যেমন পাল্লা দিয়ে প্রতি রাজ্যে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ তেমনই বেড়েছে কাজের চাহিদাও। গ্রামাঞ্চলে মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি প্রকল্পে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার কাজ করেছেন অনেকেই।
এপ্রিল থেকে অগাস্ট মাসে ৮৩টি বাড়ির সদস্য কিংবা আরও সংখ্যায় প্রকাশ করতে হলে ১ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করেছে। এতদিনে এই প্রকল্পটিতে যা পরিসংখ্যান ছিল সব ভেঙে দিয়ে লকডাউনেই তৈরি হয়েছে নয়া রেকর্ড। প্রায় ১৪ কোটি ৩৬ লক্ষ পরিবার এই মুহুর্তে চাকরির কার্ড পাওয়ার জন্য নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছে। যদিও অর্থনৈতিক মন্দা চলাকালীন সময়ে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এনআরইজিএস এর আওতায় প্রশিক্ষণহীন কাজের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছিল, কিন্তু অতিমারী চলাকালীন তা যেন নজিরবিহীন মাত্রায় বেড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন, আশার আলো একশ দিনের কাজ, সামিল গৃহবধূরাও
তথ্য জানাচ্ছে, ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হওয়া এই প্রকল্পতে চলতি অর্থবর্ষে ১ এপ্রিল থেকে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৫ কোটি ৭৯ লক্ষ পরিবার এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে আগ্রহী হয়েছে। যদিও একাংশের মত এই সংখ্যা বৃদ্ধির নেপথ্যে এই করোনা অতিমারী এবং লকডাউন। যার জেরে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে একাধিক পরিবার। আর্থিক নিরাপত্তা পেতেই এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী হতে চাইছে সকলে।
সরকারের হিসেব বলছে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ঝাড়খন্ড এবং ওড়িশার ১১৬টি জেলায় ফিরে আসা ৬৭ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকরা গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান শুরু হওয়া জেলায় ফিরে এসেছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের অনুমান অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলি যেখানে ২০ লক্ষ পরিযায়ী ফিরেছেন, তারা কিন্তু গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযানের অংশ ছিল না। কিন্তু এ রাজ্যেও মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি প্রকল্পে জব কার্ড পাওয়ার চাহিদা বিশাল প্রায় ৬ লক্ষ ৮০ হাজার। দেশে চাকরির চাহিদায় এই জবকার্ডের জন্য সবচেয়ে সংখ্যায় নাম নথিভুক্ত হয়েছে উত্তরপ্রদেশে (২১ লক্ষ) এবং বিহার (১১ লক্ষ)। আর পশ্চিমবঙ্গ সেখানে তৃতীয় স্থানাধিকারী।
আরও পড়ুন, মাদকদ্রব্য হিসেবে অবৈধ গাঁজা-ভাঙ! তবে কেন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এর ব্যবহার রয়েছে?
এ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ পরগণা চাহিদার নিরিখে তালিকায় এগিয়ে রয়েছে। এই জবকার্ডের মাধ্যমে চাকরির সুযোগ থাকলেও অনেক রাজ্যে সরকারি কর্মচারীদের বেতন ঠিক মত দেওয়া হচ্ছে না এমন অভিযোগও এসেছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন