/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/02/ie-Odysseus.jpg)
Odysseus-Lunar Mission: চাঁদের কাছাকাছি ওডিসিয়াস। (ছবি- রয়টার্স)
Lunar exploration private company: এতদিন মহাকাশ অভিযান মানেই, সেটা কোনও না কোনও দেশের সরকারের অর্থে। এমনটাই ধারণা ছিল সকলের। কারণ, মহাকাশ অভিযানে বিপুল অর্থ খরচ হয়। প্রচুর জিনিসপত্রের দরকার পড়ে। তা বহন করার ক্ষমতা বেসরকারি সংস্থার নেই। সেই ধারণাই এবার বদলাতে চলেছে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি একটি মহাকাশযান, শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) চাঁদে অবতরণ করেছে। এই সাফল্য এল চাঁদে অ্যাপোলো অভিযানের ৫২ বছর পর। হাউস্টনের ১০ বছর বয়সি এক সংস্থা 'ইনটুইটিভ মেশিনস' (Intuitive Machines) তৈরি করেছে 'ওডিসিয়াস' নামে এই মহাকাশযান।
- চাঁদে মানুষের অবতরণের ৫২ বছর পর এই অভিযান।
- ১০ বছর বয়সি এক সংস্থার মহাকাশযান পৌঁছল চাঁদে।
- ওডিসিয়াস হল সিএলপিএস উদ্যোগের প্রথম সাফল্য।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অভিযান
স্পেসএক্সের একটি ফ্যালকন ৯ রকেট ব্যবহার করে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পৃথিবী থেকে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ওডিসিয়াস। যা চাঁদে নাসার ছয়টি পেলোড নিয়ে গিয়েছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে অভিযান বরাবরই কঠিন। গত বছর চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে অবতরণ করেছিল। যা ছিল চাঁদের দক্ষিণে মেরুতে প্রথম অভিযান। চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে অবতরণের ব্যাপারে 'নোভা-সি' নামে ওডিসিয়াসের ল্যান্ডার মডিউলটি তৃতীয় স্থান অধিকার করল। কারণ, চন্দ্রযান-৩ এর পর জাপানের এসএলআইএম (চাঁদের তদন্তের জন্য স্মার্ট ল্যান্ডার) চাঁদে অবতরণ করেছিল।
নতুন সূচনা
ওডিসিয়াসের অবতরণ চাঁদে অনুসন্ধানে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। যার উদ্দেশ্য মানুষের দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের জন্য সক্ষম পরিকাঠামো এবং বাস্তুতন্ত্র তৈরি করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন যখন ১৯৬০ এবং ১৯৭০-এ চাঁদে অবতরণ করেছিল, অ্যাপোলো মিশনের সেই মানব অবতরণের চেয়ে ওডিসিয়াসের চাঁদে অবতরণের ঘটনা অনেকটাই আলাদা। সেগুলো ছিল একটি যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক ঘটনা। আর, চাঁদে ওডিসিয়াসের অভিযান চালানো হয়েছে, সেখান থেকে সম্পদ নিয়ে আসার জন্য।
Your order was delivered… to the Moon! 📦@Int_Machines' uncrewed lunar lander landed at 6:23pm ET (2323 UTC), bringing NASA science to the Moon's surface. These instruments will prepare us for future human exploration of the Moon under #Artemis. pic.twitter.com/sS0poiWxrU
— NASA (@NASA) February 22, 2024
চাঁদে প্রাথমিক অভিযান
১৯৫৭ সালে উৎক্ষেপণ হয়েছিল স্পুটনিক ১ মহাকাশযানের। যা একটি কক্ষপথে পৌঁছনো প্রথম মহাকাশযান ছিল। এর ৯ বছর পর ১৯৬৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের লুনা ৯ চাঁদে অবতরণ করেছিল। অ্যাপোলো-১১ অভিযানের মাধ্যমে চাঁদে প্রথম মানুষের অবতরণ মহাকাশ যুগের ভোরের ঠিক ১২ বছর পরে ঘটেছিল। সেই সময় অভিযান ছিল প্রাথমিক স্তরে। তাই দীর্ঘমেয়াদী অনুসন্ধান এবং সম্পদ ব্যবহারের জন্য প্রযুক্তিগত ইকোসিস্টেম তৈরি করা হয়নি।
আরও পড়ুন- রক্তাক্ত আরবভূমি! ভারতের মুন্দ্রা বন্দরের সাহায্যপ্রার্থী ইজরায়েল
আরও পরিকল্পনা
ওডিসিয়াস হল সিএলপিএস উদ্যোগের প্রথম সাফল্য। এই ধরনের অভিযানের জন্য নাসা ইতিমধ্যে ১৪টি মহাকাশ সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছে। ২০২৬ সালের মধ্যে এই কোম্পানিগুলো কমপক্ষে আরও ছয়টি চন্দ্র অভিযান চালাবে। ওই বছর নাসা, অ্যাপোলো অভিযানের পরে প্রথম মানব অবতরণের পরিকল্পনা করেছে।