Advertisment

Explained: তালিবান জমানার একবছরে কেমন আছে আফগানিস্তান, কাবুলে ঘুরে দেখল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

তালিবান শাসনের দুটি অগ্রাধিকার হল অর্থনীতি এবং নিরাপত্তা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
taliban

কাবুলের রাস্তায় তালিবানের টহল

কাবুলে তালিবান ক্ষমতায় ফিরে আসার এক বছর পর, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আফগানিস্তানে গিয়ে সরেজমিনে দেখল, এই একবছরে কতটা বদলেছে আফগানিস্তান। আফগান জনগণের মনে তালিবান সম্পর্কে ধারণা কী। আফগানিস্তানের মানুষের কাছে কোথায় দাঁড়িয়ে ভারত ও চিন।

Advertisment

ক্ষমতা দখলের এক বছর পর, তালিবান শাসনে কেমন আছে আফগানিস্তান?

১৯৯৬ সালে তালিবান প্রথমবার কাবুল দখল করে। সেই সময় জঙ্গিরা আফগানিস্তানকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছিল। বহু ঐতিহাসিক নিদর্শন ধ্বংস করে দিয়েছি। গত দুই দশক ধরে, ভারত-সহ বিদেশি শক্তিগুলো রাস্তা, বাঁধ, সরকারি অফিস, হাসপাতাল, গ্রামীণ পরিকাঠামো, অর্থনীতি, শিক্ষা-সহ নানা ক্ষেত্রে আফগানিস্তানের পুনর্নির্মাণে সাহায্য করেছে। ফের ২০২১ সালে, তালিবান একটি সাজানো দেশ দখল করেছে। কিন্তু, ৩ কোটি ২০ লক্ষ বাসিন্দার একটি দেশ পরিচালনা করতে সক্ষমতা এবং অর্থ দরকার। যা তালিবানের নেই।

বহু ধনী ব্যক্তি, মধ্যবিত্ত শিক্ষিত এবং সরকারি কর্মচারী তালিবান শাসনের অংশ হতে না-চেয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। আন্তর্জাতিক দুনিয়া এখনও তালিবান শাসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। তালিবান নেতাদের ভিনদেশে ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং-সহ আর্থিক ক্ষেত্রেও তাদের প্রবেশাধিকার সীমিত। তার মধ্যেই তালিবানরা একটি প্রশাসন চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
তাদের শাসনব্যবস্থার দুটি অগ্রাধিকার হল অর্থনীতি এবং নিরাপত্তা। এমনটা জানাচ্ছে তালিবান শাসনে আফগান প্রশাসনে যুক্ত অনেকেই।

তালিবান জমানার অর্থনীতি
মে মাসে, তালেবান সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ রাজস্বের ওপর ভিত্তি করে একটি বার্ষিক বাজেট পেশ করেছে। ২৩,১৪০ কোটি আফগানী (২৬০ কোটি ডলার) ব্যয় এবং ১৮,৬৭০ কোটি আফগানি (21০ কোটি ডলার) রাজস্বের কথা আছে বাজেটে। তবে অতিরিক্ত ব্যয় এবং প্রাপ্ত রাজস্বের ব্যবধান কীভাবে মেটানো হবে, তা জানানো হয়নি বাজেটে। আফগানিস্তানের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র আবদুল কাহার বলছি চলতি মাসের গোড়ায় কাবুলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, 'আমরা একটি বাজেট তৈরি করেছি। যা সম্পূর্ণরূপে আফগান সরকারের প্রাপ্ত রাজস্বের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের বাজেটে কোনও বিদেশি সাহায্য নেই।'

আফগানিস্তান এশিয়ার প্রাণকেন্দ্র। বলখি জানান, এই অঞ্চলের দেশগুলো একে অপরের সঙ্গে বাণিজ্য করতে চায়। এই বাণিজ্য করতে তারা আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে চায়। আফগানিস্তানের রাজস্বের ঘাটতি তাই শুল্কের মাধ্যমে মেটানো হবে। আফগান মুখপাত্র জানান, তাঁরা এখন পাকিস্তানে কয়লা রফতানিও করছেন। বলখি বলেন, 'ভারত-সহ সব দেশে আমাদের রফতানি দ্বিগুণ হয়েছে।' সরকার স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের ছোট খনি ইজারা দিচ্ছে। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। আর্থিক অগ্রগতিও ঘটছে।

আরও পড়ুন- ‘তৃণমূলকে চোর-চোর বলবেন না, এলাকা ছাড়তে হবে’, CPM-BJP-কে বেনজির ‘হুমকি’ সৌগতর

সরকার কর্মচারীদের বেতন দিচ্ছে। যদিও তালিবান পূর্বের জমানার চেয়ে বেতন কমানো হয়েছে। পৌর কর্মীরা প্রতিদিন সকালে কাবুলের রাস্তায় ঝাড়ু দেন। নিকাশি বিভাগের কর্মীরা নর্দমা পরিষ্কার করেন। উদ্যান বিভাগের কর্মীরা পার্কগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করেন। আন্তর্জাতিক সাহায্য না-নিয়েই ব্যাংকগুলো কাজ করছে। স্কুল ও হাসপাতাল খোলা আছে।

রাষ্ট্রসংঘের মানবিক প্রতিক্রিয়া আফগানিস্তানের মাথা উঁচু করে রাখতে সাহায্য করছে বলেই তালিবান নেতাদের দাবি। মহিলাদের জন্য হাইস্কুলের শিক্ষা নিষিদ্ধ করার আগে পর্যন্ত, রাষ্ট্রসংঘ আফগানিস্তানে শিক্ষকদের বেতন দিত। কমিউনিটি চিকিৎসক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদেরও বেতন দিচ্ছিল। ICRC কাবুলের ইন্দিরা গান্ধী শিশু হাসপাতালে অর্থ বিনিয়োগ করেছে।

Read full story in English

India Taliban Afganistan
Advertisment