দেশের যত মানুষ টিভি দেখেন, তার মাত্র সাত শতাংশ দেখেন খবরের চ্যানেল। এ তথ্য জানা যাচ্ছে ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল (বার্ক ইন্ডিয়া)-র ২০১৮ সালের ইয়ারবুক থেকে। বার্ক ইন্ডিয়া হল সম্প্রচারক, বিজ্ঞাপনদাতা এবং বিজ্ঞাপন ও মিডিয়া এজেন্সিদের নিয়ে গঠিত একটি কোম্পানি। বার্ক জানাচ্ছে, দর্শক সংখ্যা কম হলে কী হবে, সময়ের দিক থেকে হিসেব করলে খবরের চ্যানেলে সিনেমা বা বিনোদন চ্যানেলের থেকে বেশি বিজ্ঞাপন দেখানো হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন, ‘ওরা যুদ্ধবাজ’! মিডিয়া কি নন্দ ঘোষ?
ইয়ারবুকে দেওয়া তথ্যানুসারে, ২০১৮ সালে খবরের চ্যানেলগুলিতে মোট ৫১৫ মিলিয়ন সেকেন্ড বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয়েছে। হিন্দি, বাংলা ও তেলুগু খবরের চ্যানেলগুলি ৫০ শতাংশের বেশি বিজ্ঞাপন পেয়েছে। সবচেয়ে বেশি পরিমাণ নিউজ চ্যানেল রয়েছে হিন্দিতে, মোট ৬৬টি। এর পর তেলুগুর স্থান। এ ভাষায় মোট খবরের চ্যানেলের সঙ্গে ১৯। ইংরেজি ও তামিল ভাষায় রয়েছে ১৩টি করে খবরের চ্যানেল।
বিজ্ঞাপনের ভাগ কার কত?
২০১৮ সালে সবচেয়ে বেশি যে ঘটনাগুলি নজর কেড়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ভোট, বলিউডের ও রাজনৈতিক জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের মৃত্যু, কেরালার বন্যা এবং তিতলি সাইক্লোনের মত প্রাকৃতিক বিপর্যয়, এবং বিশ্বকাপ ফুটবল ও এশিয়ান গেমসের মত বড় স্পোর্টস ইভেন্ট।
সব ভাষা মিলিয়ে দর্শকরা সারাদিনে ৩০ মিনিটের একটু বেশি সময় নিউজ চ্যানেলে ব্যয় করে থাকেন। ভাষার ভিত্তিতে ধরলে, খবরের জন্য দর্শকের পরিমাণ এক এক রাজ্যে এক এক রকম। টিভি দর্শকের ক্ষেত্রে খবরের জন্য সারা দেশে মোট সংখ্যা সাত শতাংশ হলেও, এই পরিমাণ বিভিন্ন রাজ্যের ক্ষেত্রে যথেষ্ট আলাদারকম।
সবথেকে বেশি সময় খবর দেখার জন্য ব্যয় করেন আসাম, উত্তরপূর্ব এবং সিকিমের বাসিন্দারা, মোট ১৫ শতাংশ। খবরের জন্য সবচেয়ে কম দর্শক রয়েছেন গুজরাট, দমন ও দিউ এবং দাদরা ও নগর হাভেলিতে। সেখানে এই পরিমাণ চার শতাংশ।
দেশে টিভির মোট দর্শক সংখ্যার বিভাজন করলে দেখা যায় বিহার ও ঝাড়খণ্ডে আট শতাংশ, অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলেঙ্গানায় সাত শতাংশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরে আট শতাংশ, কর্নাটকে নয় শতাংশ, কেরালায় ১১ শতাংশ, মধ্য প্রদেশ ও ছত্তিসগড়ে ফের সাত শতাংশ, রাজস্থানে আট শতাংশ, ওড়িশায় নয় শতাংশ, তামিল নাড়ু ও পুডুচ্চেরিতে পাঁচ শতাংশ, উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে আট শতাংশ, এবং পশ্চিমবঙ্গে সাত শতাংশ।
Read the Full Story in English