Advertisment

Explained: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ভঙ্গ, মোদী সরকারের কাছে কি নতুন কিছু?

দিল্লি সরকারের ক্ষমতা খর্বের যে অর্ডিন্যান্স জারি হয়েছে, তাতে শঙ্কিত বিরোধীরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Modi and Supreme Court

শুক্রবার (১৯ মে) দেশের রাজধানী দিল্লির প্রশাসনে পরিষেবার ওপর লেফটেন্যান্ট গভর্নরের (এলজি) ক্ষমতা বৃদ্ধির অর্ডিন্যান্স জারি করেছে মোদী সরকার। এর মধ্যে দিল্লিতে আমলাদের নিয়োগ এবং বদলির ক্ষমতার বিষয়টিও আছে। এমাসেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, পরিষেবা এবং আমলাদের নিয়োগ ও বদলির মত ব্যাপারগুলো দিল্লি সরকারের হাতে থাকবে। কিন্তু, তারপরও অর্ডিন্যান্স এনে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধেই কার্যত পালটা নির্দেশনামা জারি করল মোদী সরকার।

Advertisment

বিচার বিভাগীয় সংস্কার এবং পরিষেবা শর্তাবলী বিল, ২০২১

বিচার বিভাগীয় সংস্কার বিলটি ২০২১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি লোকসভায় পেশ হয়েছিল। অধিবেশন শেষে বিলটি মুলতুবি থাকায়, অনুরূপ বিধান-সহ একটি অর্ডিন্যান্স ২০২১ সালের এপ্রিলে জারি করা হয়। এই অর্ডিন্যান্স কিছু সংস্থা বিলুপ্ত করে তাদের কার্যাবলীর ভার অন্যান্য বিচারকারী আদালতের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল। পাশাপাশি, এই অর্ডিন্যান্স বিভিন্ন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারপারসন ও সদস্যদের পদের মেয়াদ চার বছর করতে বলেছিল। চেয়ারপারসনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭০ বছর এবং অন্যান্য সদস্যদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৬৭ বছর করার পক্ষেও সওয়াল করেছিল।

আগেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানেনি মোদী সরকার

'মাদ্রাজ বার অ্যাসোসিয়েশন বনাম ভারত সরকার' মামলায় (২০২০) সালের রায়ের পাশাপাশি আদালতের পূর্ববর্তী রায়গুলোর সঙ্গে সম্মতি না-থাকায় কারণে এই অর্ডিন্যান্সকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। কারণ, আদালত পদের ন্যূনতম মেয়াদ পাঁচ বছর নির্ধারণ করেছিল। ২০২১ সালে সুপ্রিম কোর্ট ২-১ সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ে চেয়ারপারসন বা সদস্যদের নিয়োগের ন্যূনতম বয়স ৫০ বছর করার ওপর জোর দিয়েছিল।

আরও পড়ুন- কেন রাষ্ট্রপতিকে সংসদ ভবন উদ্বোধন করতে দেওয়া হচ্ছে না? ক্ষোভ বিরোধীদের

আর, চার বছরের মেয়াদ সম্পর্কিত অর্ডিন্যান্সের আইনগুলো বাতিল করেছিল। আদালত মনে করিয়ে দিয়েছিল যে, ট্রাইব্যুনালে নিয়োগের ক্ষেত্রে আধিকারিকদের প্রভাব বিশেষ গ্রাহ্য হবে না। আদালত এতকিছু বলার পরও অবশ্য, এর একমাস পরে, সংসদ ট্রাইব্যুনাল রিফর্মস অ্যাক্ট, ২০২১ পাস করে। যেখানে সুপ্রিম কোর্ট যে আইনগুলো বাতিল করেছিল, সেই একই আইন পুনরায় লাগু করার কথা জানানো হয়।

supreme court Modi Government Law Ministry
Advertisment