ভারতের জনসংখ্যায় বসন্ত। থুড়ি তারুণ্য। এখনও। হিসেবটা কী? আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার একের চার ভাগের বয়স ১৫-র নীচে। আর আটের এক ভাগের বয়স ৬০-এর উপরে। তবে তরুণ নাগরিকের সংখ্যা গত পাঁচ বছরে সামান্য হলেও কমেছে। জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষার চতুর্থ সংস্করণের (২০১৫-১৬) পাশে গত সপ্তাহে প্রকাশিত জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষার পঞ্চম সংস্করণটিকে (২০১৯-২১) রাখলেই দেখা যাবে, ১৫ বছরের নীচে থাকা জনসংখ্যা কমেছে ২ শতাংশ। ২৯ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ২৭ শতাংশ। ষাটোর্ধ্বদের সংখ্যা বেড়েছে উল্টো দিকে, হয়েছে ১০ থেকে ১২ শতাংশ।
সমীক্ষার চার নম্বর সংস্করণের থেকে পাঁচ নম্বরে ৩০-এর নীচের জনসংখ্যাও কমেছে ( যদিও এখনও তা অর্ধেকের বেশি)। ৫৫.৫ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৫২ শতাংশ। জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষায় পাঁচ বছর করে-করে জনসংখ্যাকে ভাগ করা হয়। তবে তা ৮০ বছর পর্যন্ত। যেমন ০ থেকে ৪ বছর থেকে ৭৫ থেকে ৭৯ বছর ভাগের পর যেই ৮০ পেরিয়ে গেল তখন একটি গ্রুপ। অর্থাৎ আশি-ঊর্ধ্বদের একটিই ভাগ। বয়সের হিসেবের পিরামিড (এজপিরামিড) বলছে জনসংখ্যায় এখনও পুরো দস্তুর তরুণ। এর কারণটা যে কোনও উন্নয়নশীল দেশের মতো, নাগরিকের আয়ু কম। যদিও এমনও বলছে ওই হিসেব-টি যে, মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে গত পাঁচ বছরে।
আরও পড়ুন- স্থগিত রাষ্ট্রদ্রোহ আইন, স্বাগত জানাল বিরোধী শিবির
জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষা ২৭ লক্ষ ৬০ হাজার ৩৭১ জন ব্যক্তির উপর নির্ভর করে করা হয়েছে। নমুনা পরিবারের সংখ্যা-- ৬ লক্ষ ৩৬ হাজার ৬৯৯। কোনও একটি পরিবারে এক সঙ্গে যাঁরা থাকেন, সে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক থাকুক আর না-ই থাকুক, একটি ইউনিট হিসেবে ধরা হয়েছে সমীক্ষায়। অর্থাৎ এক বাড়িতে, এক গৃহসংক্রান্ত ব্যবস্থাপনায় যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের একটি পরিবারের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে এতে।
পরিবারের আকার এ বারের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গত বারের তুলনায় (২০১৫-১৬) সামান্য ছোট হয়েছে। গড় হিসাবে যা সামনে এসেছে সেটি হল, এই আকার ছিল ৪.৬ জনের, এবার তা হয়েছে ৪.৪ জন। ছ'ভাগের এক ভাগ পরিবারের দেখা গিয়েছে মহিলা প্রধান। সংখ্যা হিসেবে কম দেখালেও, এটি কিন্তু বেড়েছে। ১৫ শতাংশ থেকে হয়েছে ১৮ শতাংশ।
Read story in English