Advertisment

আকাশপথ খুলে দিল পাকিস্তান: কী সুবিধা হবে এই সিদ্ধান্তে

এর ফলে ৭০-৮০ মিনিটের যাত্রা সময় কমবে। ভারতীয় বিমানসংস্থা এই নিষেধাজ্ঞার কারণে ৫৫০ কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এর মধ্যে বৃহৎ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া সংস্থা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Pak Airspace

প্রতীকী ছবি

ভারতীয় ও বিদেশি এয়ারলাইন সংস্থাগুলিকে স্বস্তি দিয়ে পাকিস্তান মঙ্গলবার তাদের আকাশপথ খুলে দিল। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আকাশপথে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তারা। বালাকোটে ভারতের আকাশপথে হানার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান।

Advertisment

পাকিস্তান অসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এই আকাশপথ বন্ধ রাখার ব্যাপারে একটি নোটাম (নোটিস টু এয়ারমেন) জারি করা হয়েছিল। মঙ্গলবার ভারতীয় সময় রাত একটায় এই নোটিস প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ইউরোপ থেকে ভারতগামী এয়ার ইন্ডিয়ার প্রচুর বিমান পাক আকাশপথ ব্যবহার করত।

পাকিস্তান আকাশপথ খুলে দেওয়ার ফলাফল

এর ফলে ৭০-৮০ মিনিটের যাত্রা সময় কমবে। ভারতীয় বিমানসংস্থা এই নিষেধাজ্ঞার কারণে ৫৫০ কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এর মধ্যে বৃহৎ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া সংস্থা। ২ জুলাই পর্যন্ত তাদের ক্ষতির পরিমাণ ৪৯১ কোটি টাকা। অন্যদিকে ভারতের বৃহত্তম অন্তর্দেশীয় উড়ান সংস্থা ৩১ মে পর্যন্ত ২৫.১ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে। কম বাজেটের দুই বিমান সংস্থা স্পাইস জেট ও গোএয়ার ২০ জুন পর্যন্ত যথাক্রমে ৩০.৭৩ কোটি ও ২. ১ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে।

শুরুতে পাকিস্তান তাদের আকাশপথ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছিল। পরে তারা সে নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহার করে দেশের আকাশপথের কিছুটা খুলে দেয়। পাকিস্তানের মোট ১১টি আকাশপথের মধ্যে মার্চ থেকে খোলা ছিল দুটি। এর মধ্যে একটি আরব সাগরের উপর পশ্চিমমুখী করাচি, হিঙ্গোস, গদরগামী এবং অন্যটি করাচির উপর দিয়ে পূর্বমুখী, ভারতের আমেদাবাদের গুজরাটের বাদিনমুখী।

পাকিস্তানি নিষেধাজ্ঞার ফলে যে সব রুটে প্রভাব পড়েছিল

এই রুট বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে উপমহাদেশের পূর্ব-পশ্চিমের বহু বিমান সমস্যায় পড়েছিল। সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছিল দিল্লি, লখনউ, অমৃতসর থেকে পশ্চিমগামী বিমানগুলি।

সাধারণভাবে উত্তর ভারতের বিমানবন্দর থেকে ছাড়া বিমানগুলি পাক আকাশপথে প্রবেশ করত- সেগুলিকে এই সময়ে গুজরাট বা মহারাষ্ট্র হয়ে ডানদিকে ঘুরে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা বা পশ্চিম এশিয়ায় যেতে হচ্ছিল- ফলে প্রায় সব উড়ানেরই সময়কাল বেড়ে গিয়েছিল ৭০-৮০ মিনিট।

এয়ার ইন্ডিয়ার দিল্লি থেকে শিকাগোগামী বিমানগুলিকে ইফরোপে জ্বালানি ভরার জন্য নামতেই হচ্ছিল। দিল্লি থেকে ইস্তাম্বুলগামী ইন্ডিগোর বিমান ছিল নন-স্টপ। সেগুলিকে জ্বালানি ভরার জন্য দোহায় নামতে হচ্ছিল। স্পাইসজেটের দিল্লি-কাবুল বিমান বাতিল করতে হয়েছিল।

Read the full Story in English

pakistan
Advertisment