পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের দাবি ক্রমশই জোরালো হচ্ছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের বিশ্বাস যে জনগণ তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন। ইমরানের সমর্থকদের বিশ্বাস, বর্তমানে পাকিস্তান যে চরম আর্থিক এবং রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে, তা থেকে তুলে ধরার একমাত্র রাস্তা নির্বাচন। কিন্তু, ইমরানের সমর্থকদের সেই দাবি মানতে নারাজ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ইমরান সমর্থকদের দাবি, শাহবাজ আসলে ভয় পাচ্ছেন। তাঁর ভয়, নির্বাচন হলে যদি ইমরান ফের ক্ষমতায় চলে আসেন!
ইমরানই জনপ্রিয়
গতবছর সেপ্টেম্বরে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ইমরান খানকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারণ করা হয়। ইমরান পালটা অভিযোগ করেছিলেন যে তৎকালীন পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া এবং আমেরিকা তাঁর এই অপসারণের জন্য দায়ী। প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা ইমরান খান এখন পুরোপুরি রাজনীতিবিদ। তিনি মধ্য-ডানপন্থী দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান। জনমত সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, অপসারণের পর থেকেই ইমরান খান পাকিস্তানের অন্যান্য রাজনীতিবিদদের চেয়ে এগিয়ে আছেন।
ঋণ পাওয়া নিয়ে সংশয়
দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম অধ্যুষিত দেশ পাকিস্তানে শুধু ইমরানের জনপ্রিয়তাই একমাত্র কারণ নয়। নির্বাচন নিয়ে পাকিস্তান সরকারের ভয়ের অপর কারণ, সেই দেশের আর্থিক পরিস্থিতি। এখনও পর্যন্ত পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (আইএমএফ) থেকে ঋণের ব্যবস্থা করতে পারেনি। বরং, সেই ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা অর্জনের জন্য ব্যাপক চেষ্টা চালাচ্ছে। আর, এই আর্থিক সমস্যা, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং গ্যাস ও বিদ্যুতের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি শাহবাজ শরিফের সরকারের প্রতি জনগণের ক্ষোভ বাড়িয়ে তুলেছে।
আরও পড়ুন- আবার ধাক্কা! সিবিআইয়ের পর এবার ইডি গ্রেফতার করল সিসোদিয়াকে
চরম আর্থিক সংকট
পাকিস্তানে বর্তমানে জ্বালানি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রীর সংকট দেখা দিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড মাত্রা ছুঁয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম এতই বেড়ে গিয়েছে যে তা জোগাড় করতেই জনগণকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রধান শহরগুলোর গ্যাস স্টেশনের বাইরে গ্যাস ভরানোর জন্য গাড়ির লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। একই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের আর্থিক রাজধানী বলে পরিচিত করাচিতেও। বন্দর শহর করাচির বহু বাড়িতেই এখন রান্না করার মত গ্যাস নেই। আর, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অভাবে কারখানাগুলোর কাজকর্মও শিকেয় উঠেছে।