Advertisment

Pakistan: তোলপাড় পাকিস্তান! সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিরাট 'রায়'

Imran Khan: জনসাধারণের মধ্যে সেনাবাহিনীর অবস্থান, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে সেনার ভাবমূর্তিতে ধাক্কা লেগেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Imran Khan, Pakistan Election

Imran-PTI: শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের করাচিতে প্রাদেশিক নির্বাচন কমিশনের (ECP) বাইরে বিক্ষোভ চলছে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এবং ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দল জামাত-ই-ইসলামির (জেআই) পতাকার সঙ্গেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের একটি ছবি দেখা যাচ্ছে। এই সব ছবি আর পতাকা নিয়ে সমর্থকরা অবাধ ও সুষ্ঠু ফলাফলের দাবিতে একটি যৌথ বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। (ছবি- রয়টার্স/আখতার সুমরো)

Pakistan-Imran Khan: পাকিস্তানের সড়ক পরিবহণ সংস্থা, 'কারিম' সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ পোস্ট করেছে, 'যুদ্ধ হয়ে গেল'? এই পোস্ট করার কারণ, ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের সমর্থকরা বিলাওয়াল ভুট্টো ও শেহবাজ শরিফদের বিরুদ্ধে ব্যাপকহারে ভোট দিয়েছেন। ভুট্টো আর শরিফদের পিছনে ছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সমর্থন। ভুট্টো আর শরিফের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার অর্থ, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেই ভোট দেওয়া। সেটা বোঝাতেই কারিম ওই পোস্ট করেছিল।

Advertisment

পাকিস্তানের সেনাকে কটাক্ষ করে প্রচার

আর, তারপরই কারিম দাবি করেছে, তাদের এই পোস্টের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক বিষয়ের সম্পর্ক নেই। তারা তাদের ক্যাব পরিষেবায় বুকিংয়ের বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন। কিন্তু, ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। পিএমএল (এন) কর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার শুরু করেছে। প্রচারের নাম দিয়েছে, '#BoycottCareem'। এই প্রচারের জেরে ওই বার্তাটা মুছে দিয়েছে কারিম। এই ঘটনা পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিবেশকে তুলে ধরেছে।

পাকিস্তানের সেনার বিরুদ্ধে রায়

জনগণের এই রায় কিন্তু, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কোনও চ্যালেঞ্জ ভাবলে ভুল হবে। জনগণের এই রায়ের অর্থ হল গণতন্ত্রের 'প্রতিষ্ঠা'র চেষ্টা। সেই চেষ্টাটুকুই যেন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কাছে চ্যালেঞ্জ বলে মনে হচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী অভ্যস্ত নয়। সেদেশের গণমাধ্যমে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের জনগণ আসলে সেদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের কর্তৃত্বকেই চ্যালেঞ্জ করেছে।

আরও পড়ুন- বড় চমক দেওয়ার পথে কমলনাথ, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের এখন বিরাট পরিকল্পনা

ইমরানের বিরুদ্ধে সেনার প্রচার ধাক্কা খেয়েছে

এই ব্যাপারে, 'দ্য ফ্রাইডে টাইমস'-এর এডিটর-অ্যাট-লার্জ এবং নয়া দৌড় মিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা রাজা রুমি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, 'পাকিস্তানের সেনাবাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের জন্য কুখ্যাত। যাইহোক, এবার তারা ইমরান খানের প্রতি জনগণের সমর্থন ও সহানুভূতি দেখে অবাক হয়েছে। কারণ, ইমরানের দলকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করার জন্য তাদের নীতি স্পষ্টতই ব্যর্থ হয়েছে। পিটিআই একটি রাষ্ট্রবিরোধী দল। এই দল পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বিরোধী। এমনটাই এতদিন প্রচার করা হয়েছে। সেই প্রচারের বিরুদ্ধে জনগণের রায় একটি বড় ধাক্কা। ভোটাররা এই প্রচার প্রত্যাখ্যান করেছেন। জনসাধারণের মধ্যে সেনাবাহিনীর অবস্থান, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে সেনার ভাবমূর্তিতে ধাক্কা লেগেছে। এখন সেই হারানো ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে হবে। যা এখন সেনাপ্রধান মুনিরের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।'

army pakistan imran khan Vote Rigging
Advertisment