Parliament passed The Citizenship (Amendment) Act: পার্লামেন্ট নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, ২০১৯ পাশ করার চার বছরেরও বেশি সময় পরে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সোমবার আইনটি কার্যকর করেছে। সিএএর বিরুদ্ধে ২০১৯-২০ সালের শীতকালে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল। এই আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অনেকেই।
নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনী
ডিসেম্বর ২০১৯-এ, সংসদ নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫-এর একটি সংশোধনী পাস করে। যেখানে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি বা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সেই সব উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা এই আইনে আছে, যাঁরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে প্রবেশ করেছিল প্রতিবেশী পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে।
সিএএ থেকে বাদ
নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনী অনুযায়ী, তিনটি প্রতিবেশী মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ থেকে আসা উদ্বাস্তুদের নির্দিষ্ট শ্রেণিগত (ধর্মীয় ভিত্তিতে) যোগ্যতার মানদণ্ড শিথিল করা হয়েছে। অসম, মেঘালয়, মিজোরাম এবং ত্রিপুরার উপজাতি প্রধান এলাকা এবং 'ইনার লাইন' ব্যবস্থা দ্বারা সুরক্ষিত জায়গা-সহ বিভিন্ন এলাকাকে সিএএর আওতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
ইনার লাইনের ধারণা
ইনার লাইনের ঔপনিবেশিক ধারণা উত্তর-পূর্বের উপজাতি-অধ্যুষিত পাহাড়ি এলাকাকে সমতল থেকে পৃথক করেছে। এই এলাকায় প্রবেশ এবং থাকার জন্য, একটি ইনার লাইন পারমিট (ILP) দরকার হয়। এই আইনটির বিজ্ঞপ্তি জারির পর ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি, গোটা দেশে, বিশেষ করে অসমে ব্যাপক বিক্ষোভের সঞ্চার করেছিল। কিন্তু, আইন না থাকায় সেই সময় তা তা কার্যকর করা যায়নি।
নাগরিকত্ব আইন সংশোধন
এরপর ২০২১ সালের ২৮ মে, কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে। এই আইনের ১৬ ধারার অধীনে কেন্দ্রীয় সরকার একটি আদেশ জারি করে। যে আদেশ, ১৩টি জেলার জেলাশাসকদের ২০১৯ সংশোধনীতে চিহ্নিত গোষ্ঠীগুলোর থেকে নাগরিকত্বের আবেদন গ্রহণ করার ক্ষমতা দিয়েছে। সোমবার ই-গেজেটে বিজ্ঞাপিত ৩৯-পৃষ্ঠার বিধি বইয়ে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের আবেদন করার পদ্ধতি উল্লেখ আছে। নাগরিকত্ব দাবি করার জন্য এবং বিবেচনা করার জন্য কী কী নথি এবং কাগজপত্র প্রয়োজন, তা-ও সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- একটাই ক্ষেপণাস্ত্রে অনেকগুলো অস্ত্র, বিশেষত্ব জানলে গর্ব করবে প্রত্যেক ভারতীয়
আইনি চ্যালেঞ্জ
ভারতীয় ইউনিয়ন মুসলিম লিগ (আইইউএমএল) ২০২০ সালে এই সংশোধনীকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিল। তারপর থেকে, ২০০টিরও বেশি পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে দাখিল হয়েছে। যার সঙ্গে আইইউএমএলের আবেদনকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এই সব আবেদনগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজনীতিবিদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি, জয়রাম রমেশ, রমেশ চেন্নিথালা ও মহুয়া মৈত্রের আবেদন। এছাড়াও অসম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি, অসম গণ পরিষদ (এজিপি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (অসম), মুসলিম স্টুডেন্টস ফেডারেশন (অসম), দ্রাবিড় মুনেত্রা কাজাগামের মত রাজনৈতিক সংগঠনের আবেদনও এখানে রয়েছে।