Explained: পাইলটের ওপর হামলা যাত্রীর, নেওয়া হচ্ছে কড়া ব্যবস্থা, কোন পদ্ধতিতে কারা দেবেন শাস্তি?
Passenger Pilot: বিমান সংস্থা ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ সিভিল এভিয়েশন রিকোয়ারমেন্টস (CAR) অনুযায়ী নেওয়া হবে। এই সিভিল এভিয়েশন রিকোয়ারমেন্টস, অ্যাভিয়েশন ওয়াচডগ- ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (DGCA) জারি করেছে।
Passenger-Pilot: রবিবার (১৪ জানুয়ারি, ২০২৪), দিল্লি বিমানবন্দরে টেক অফে বিলম্বের ঘোষণার সময় একজন যাত্রী ইন্ডিগোর একজন পাইলটকে আঘাত করেন। (পিটিআই ছবি)
Passenger attacked a pilot: রবিবার দিল্লিতে ঘন কুয়াশায় ফ্লাইট কয়েক ঘণ্টা বিলম্বিত হয়। একজন যাত্রীকে নো-ফ্লাই তালিকায় রাখার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইন্ডিগো। কারণ, ওই যাত্রী একজন পাইলটকে লাঞ্ছিত করেছেন। বিমান সংস্থা ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ সিভিল এভিয়েশন রিকোয়ারমেন্টস (CAR) অনুযায়ী নেওয়া হবে। এই সিভিল এভিয়েশন রিকোয়ারমেন্টস, অ্যাভিয়েশন ওয়াচডগ- ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (DGCA) জারি করেছে। ঘটনার সময় এবং পরবর্তীকালে বিভিন্ন অবাধ্য যাত্রীদের আচরণের ক্ষেত্রে বিমান সংস্থাগুলো এই নীতিই অনুসরণ করবে। গত কয়েক মাস ধরে, ডিজিসিএ বিমান সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে, প্যাসেঞ্জারদের আচরণের ব্যাপারে জানাতে। ডিজিসিএ মনে করে, তাদের চালু করা বিধিগুলো বিমানের নিরাপত্তার জন্যও জরুরি।
Advertisment
যাত্রীদের কোন আচরণ অবাঞ্ছিত? লেভেল ১: শারীরিক অঙ্গভঙ্গি, মৌখিক হয়রানি এবং অনিয়মিত মদ্যপান সহ অনিয়ন্ত্রিত আচরণ। লেভেল ২: শারীরিকভাবে অবমাননাকর আচরণ- যার মধ্যে আছে ধাক্কা দেওয়া, লাথি মারা, আঘাত করা এবং দখল করা বা অনুপযুক্ত স্পর্শ করা, অথবা যৌন হয়রানি করা। লেভেল ৩: বিমান অপারেটিং সিস্টেমের ক্ষতি, শারীরিক হিংসা- যেমন দম বন্ধ করে দেওয়া, চোখ কেটে দেওয়া, খুনের জন্য আক্রমণ, এবং ফ্লাইট ক্রু কম্পার্টমেন্টে প্রবেশের চেষ্টা বা জোর করে প্রবেশ করার মত বিভিন্ন আচরণ।
কী পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়? যখন একটি বিমান সংস্থা পাইলট-ইন-কমান্ডের থেকে যাত্রীদের অসংলগ্ন আচরণের অভিযোগ পায়, তখন তাকে অবশ্যই একটি অভ্যন্তরীণ কমিটির কাছে অভিযোগ পাঠাতে হয়। সেই কমিটিতে যাঁরা থাকেন, তাঁরা হলেন- (i) একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ। তিনি থাকেন চেয়ারম্যান পদে। এছাড়াও থাকেন (ii) কোনও না-কোনও বিমান সংস্থার একজন প্রতিনিধি, (iii) যাত্রী সমিতি বা ভোক্তা সমিতি অথবা একটি ভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি ফোরামের একজন অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক। অভ্যন্তরীণ কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে ঘটনাটির শ্রেণিবদ্ধকরণ (কোন শ্রেণির অপরাধ) করতে হয়। বিষয়টি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, কতদিনের জন্য ওই যাত্রীকে বিমানে উঠতে দেওয়া হবে না। কমিটির সিদ্ধান্ত মানা বিমান সংস্থাগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক।