এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার রবিবার বিকেলে (২ জুলাই) মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন। তাঁর দলের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলির কারণে অজিত অসন্তুষ্ট। তার জেরেই তিনি বিজেপি-শিবসেনা (শিণ্ডে) সরকারে যোগ দিলেন। পাওয়ার এনসিপি থেকে আট বিধায়ককে নিয়ে গিয়েছেন। এনসিপি মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিরোধী শিবিরে ছিল। এবার একনাথ শিণ্ডের নেতৃত্বাধীন সরকারে যোগ দিল। অন্তত অজিত পাওয়ারের তেমনটাই দাবি।
অজিতের আগের বিদ্রোহ
এর আগে ২০১৯ সালে, অজিত পাওয়ার বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। সেই সময়ও মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। আর, ফড়নবিশ শপথ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পদে। তবে, সেবার তাঁর বিদ্রোহ তিন দিনের বেশি স্থায়ী হয়নি। যার জেরে পাওয়ার এনসিপিতে ফিরে আসেন। বর্তমানে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী। আর, পাওয়ারও সেই পদে থাকবেন।
রাজনৈতিক সমঝোতার পরিচয়
ভারতীয় রাজনীতিতে উপমুখ্যমন্ত্রী পদটি নতুন কিছু নয়। তবে, এদেশে একজন উপমুখ্যমন্ত্রীর নিয়োগ সাধারণ একটি রাজনৈতিক সমঝোতার ইঙ্গিত দেয়। যা প্রায়শই জোট সরকারে ঘটে থাকে। যখন কোনও একজন নেতা ক্ষমতায় থাকা দলে অপ্রতিদ্বন্দ্বী কর্তৃত্ব বজায় রাখেন, তখন কিন্তু, এই উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থাকে না। যেমন সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের মন্ত্রী টিএস সিংদেওকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। ছত্তিশগড় বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ মেটানোর জন্যই কংগ্রেস এই খেলা খেলেছে।
আরও পড়ুন- মহারাষ্ট্রে পাওয়ার বাহিনীর ডিগবাজি, উদ্ধবকে ছেড়ে শিণ্ডের সঙ্গে হাত মেলাল এনসিপি
উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ
সংবিধানের ১৬৩ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে 'রাজ্যপালকে তাঁর কার্য সম্পাদনে সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একটি মন্ত্রী পরিষদ থাকবে।' না অনুচ্ছেদ ১৬৩, আর না অনুচ্ছেদ ১৬৪ (১) (মন্ত্রীদের জন্য অন্যান্য বিধান), উপমুখ্যমন্ত্রীর উল্লেখ নেই। শুধু বলা আছে, 'মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপাল দ্বারা নিযুক্ত হবেন এবং অন্যান্য মন্ত্রীরা মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে রাজ্যপাল কর্তৃক নিযুক্ত হবেন।' তবে, একজন উপমুখ্যমন্ত্রী পদটি ক্যাবিনেট মন্ত্রীর (রাজ্যে) পদের সমতুল্য বলে ধরে নেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, উপমুখ্যমন্ত্রী অন্যান্য ক্যাবিনেট মন্ত্রীর মত একই বেতন এবং সুবিধা ভোগ করেন।