বয়স ৫০? অথবা অর্ধশতক ছাড়িয়ে গেছে? তাহলে কিন্তু এখন থেকেই সাবধান হোন। কারণ, এই বয়সটাই সাবধান হওয়ার সময়। বিশেষ করে যদি ঘুমের পরিমাণ কম হয়। মানে, পাঁচ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমোন- তাহলে। কারণ, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের ব্যক্তিদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এমনকী ক্যানসারের মত মারাত্মক সব রোগ হতে পারে।
গবেষকরা ৫০, ৬০ এবং ৭০ বছর বয়সি ৭,৮৬৪ জন ব্রিটিশ সরকারি কর্মচারির তথ্য বিশ্লেষণ করেছে। গবেষকরা পিয়ারের PLOS মেডিসিন জার্নালে তাদের গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছে। ১৮ অক্টোবরের সংখ্যায় গবেষণার এই ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। যাঁদের ওপর পরীক্ষা চালিয়েছেন, গবেষক দলের সদস্যরা ওই সব ব্যক্তিদের ২৫ বছরের ব্যবধানে ঘুমের সময়কাল জেনে নিয়েছেন।
আর, বিভিন্ন রোগের সঙ্গে এই ঘুমের সম্পর্ক কমা বা বাড়ার ঘটনাকে মিলিয়ে দেখেছেন। মোট ১৩টি ক্রনিক রোগকে গবেষকরা তাঁদের তালিকায় রেখেছিলেন। তার মধ্যে দুটি বা তার বেশি দীর্ঘস্থায়ী রোগের সঙ্গে ঘুম কমে যাওয়ার সম্পর্ক পাওয়া গিয়েছে। গবেষকদের দ্বিতীয় উদ্দেশ্য ছিল, ৫০ বছর বয়সে ঘুমের সময়কাল একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগের স্বাভাবিক গতিপথকে কতটা বদলে দেয়, তা নির্ধারণ করা।
আরও পড়ুন- দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরানোর ডাক মোদীর, অথচ বিদ্রোহের স্তূপে বসে হিমাচলপ্রদেশ বিজেপি
স্বাস্থ্যকর অবস্থা থেকে ক্রনিক ডিজিস, মাল্টিমরবিডিটি এবং মৃত্যু এই বিভিন্ন পর্যায়ের সঙ্গে ঘুমের কতটা সম্পর্ক আছে, তা নির্ধারণ করাও ছিল গবেষকদের অন্যতম উদ্দেশ্য। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সিদের মধ্যে যাঁরা পাঁচ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমিয়েছিলেন, তাদের তাদের ক্রনিক ডিজিস হওয়ার সম্ভাবনা ২০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
আর, ২৫ বছরের মধ্যে দুই বা ততোধিক ক্রনিক ডিজিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে। তুলনায় যাঁরা সাত ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুমোন, তাঁদের ক্রনিক ডিজিসের পরিমাণ কম বলেই সমীক্ষায় ধরা পড়েছে। গবেষকরা দেখেছেন যে ৫০, ৬০ এবং ৭০ বছর বয়সিদের মধ্যে যাঁরা দৈনিক পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুমোন, তাঁদের মাল্টিমরবিডিটির ঝুঁকি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়ে যায়।
Read full story in English