মৌলবাদী মুসলিম সংগঠন পিএফআইকে জঙ্গি সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। ওই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সংগঠনটির কার্যালয় ও নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। পাশাপাশি, অভিযান চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও।
কবে অভিযান চালিয়েছেন তদন্তকারীরা?
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে পিএফআইয়ের বিভিন্ন কার্যালয় এবং আধিকারিকদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলো। তারপর ফের দেশব্যাপী অভিযান চালানো হয় গতকাল, ২৭ সেপ্টেম্বর। আগেরবার অসংখ্য পিএফআই নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযানে কী উঠে এসেছে?
আর, এবারের অভিযানে দেশের সাত রাজ্যে ২৭০ জনেরও বেশি পিএফআই নেতা-কর্মীকে আটক ও গ্রেফতার করেছে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ। তদন্তকারীদের অভিযোগ, পিএফআই সদস্যরা জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিত। মুসলিম যুবকদের জঙ্গি কার্যকলাপে উৎসাহিত করত। তদন্তে এই সব কথা জানা যাওয়ার পরই বিভিন্ন মহল মনে করছিল, পিএফআইকে নিষিদ্ধ করতে পারে মোদী সরকার। সেই অনুমান সত্যি করে ২৭ সেপ্টেম্বর ওই সংগঠনের ওপর মোদী সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে গেজেটে সেই নিষেধাজ্ঞার কথা প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন- ‘বিজেপি মহিলাদের কতটা সম্মান করে আজ তা স্পষ্ট’, অঙ্কিতা খুনে রাহুলের নিশানায় মোদী-শাহ
নিষেধাজ্ঞা বিজ্ঞপ্তির অর্থ কী?
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA) এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (UAPA) এর অধীনে রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন (RIF) এবং ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া-সহ PFI এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোর ওপর পাঁচ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে কী বলা হয়েছে?
বিজ্ঞপ্তিতে বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, PFI এবং এর সহযোগী বা সংগঠনগুলো প্রকাশ্যে আর্থ-সামাজিক, শিক্ষাগত এবং রাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে কাজ করে। কিন্তু, তারা সমাজের একটি নির্দিষ্ট অংশকে সন্ত্রাসবাদী করার জন্য একটি গোপন এজেন্ডা অনুসরণ করে চলেছে। গণতন্ত্রের ধারণাকে ক্ষুণ্ন করছে এবং দেশের সাংবিধানিক কর্তৃত্ব ও সাংবিধানিক ব্যবস্থার প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করছে।
Read full story in English