ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন গত সপ্তাহে হাজার হাজার লোককে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮৯০ কোটি মার্কিন ডলার দিতে সম্মত হয়েছে। এই ব্যক্তিরা জনসন অ্যান্ড জনসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাঁদের দাবি, এই সংস্থার তৈরি ট্যালকম পাউডার তাঁদের জীবনে ক্যানসার ডেকে এনেছে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে জনসন অ্যান্ড জনসন আদালতের বাইরেই বিষয়টি মীমাংসা করতে উদগ্রীব হয়ে উঠেছে। আর, সেই জন্য প্রথমে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার আর তার পরে, চারগুণ অর্থাৎ ৮৯০ কোটি মার্কিন ডলার মামলাকারীদের দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।
কেন আদালতের বাইরেই নিষ্পত্তির প্রস্তাব?
জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির বিরুদ্ধে ৩৮,০০০টিরও বেশি মামলা মুলতুবি রয়েছে। তার পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে বেবি পাউডার। যাতে ট্যালক ব্যবহার হয়। এই পরিস্থিতিতে আদালতে মামলাগুলো অনুমোদিত হলে এই পণ্যগুলোর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের দাবিগুলোরও তা সমাধান করবে। যাতে দীর্ঘ সময় লাগবে। ওই সময়ে সংস্থা তাদের পণ্য বিক্রি করতে বাধা পেতে পারে। তার বদলে প্রস্তাবিত ৮৯০ কোটি মার্কিন ডলারের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে নিতে চাইছে জনসন অ্যান্ড জনসন। যা সহায়ক সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন এলটিএল ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে ২৫ বছরের মধ্যে নিষ্পত্তিতে ইচ্ছুকদের দেওয়া হবে।
কোম্পানি বাঁচাতে
এই সহায়ক কোম্পানি ২০২১ সালে তৈরি করা হয়েছিল। যাতে ট্যালক-সম্পর্কিত মামলা থেকে মূল কোম্পানিকে রক্ষা করতেই তৈরি হয়েছে। তবে, নিষ্পত্তির প্রস্তাব দিলেও জনসন অ্যান্ড জনসন দাবি করেছে যে তার পণ্যগুলো নিরাপদ। আর, সেগুলো কোনওভাবেই ক্যানসার সৃষ্টি করেনি। কোম্পানিটি জানিয়েছে, তারা ২০২০ সালেই আমেরিকায় ট্যালক-ভিত্তিক পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। একইসঙ্গে জানিয়েছে, তারা চলতি বছর থেকে পণ্যের গুণমান বজায় রেখে ভুট্টার মাড়-ভিত্তিক পণ্য বিশ্বজুড়ে সরবরাহ করবে।
আরও পড়ুন- চলতি বছর কি এল নিনোর সময়কাল? হলে, কী ঘটতে পারে?
নিরাপত্তার দাবি
একথা জানানোর সঙ্গেই জনসন অ্যান্ড জনসন জানিয়েছে, তাদের কসমেটিক ট্যালকের নিরাপত্তার জুড়িমেলা ভার। তারা বিশ্বব্যাপী চিকিৎসকদের কয়েক দশকের স্বাধীন বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এমনটা দাবি করছেন বলেই জানিয়েছেন জনসন অ্যান্ড জনসনের কর্তারা। আর, তারই ওপর নির্ভর করে জনসন অ্যান্ড জনসনের দাবি, 'ট্যালক-ভিত্তিক পাউডার নিরাপদ। এতে কোনও অ্যাসবেস্টস থাকে না। আর, ক্যানসারও সৃষ্টি করে না।'