পরিবেশের ওপর নানা বিরূপ প্রভাব আছে। তারপরও বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিক থেকে মানুষের জীবনের প্লাস্টিক সর্বব্যাপী আংশ হয়ে উঠেছে। এবছরের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের থিম ছিল, প্লাস্টিক দূষণকে হারান। এই থিম, প্লাস্টিক দূষণের মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ববাসীকে সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।
বিশ্ব পরিবেশ দিবসের অর্ধশতক
শুরুটা হয়েছিল ১৯৭৩ সালে। তারপর থেকে প্রতিবছর ৫ জুন পালিত হচ্ছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস। শুরু হওয়ার একবছর আগে, অর্থাৎ ১৯৭২ সালে তারিখটি বেছে নিয়েছিল রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভা। সেই সময় আয়োজিত হয়েছিল ঐতিহাসিক স্টকহোম কনফারেন্স অন দ্য হিউম্যান এনভায়রনমেন্ট। যা পরিবেশকে একটি প্রধান ইস্যু করার লক্ষ্যে আয়োজিত প্রথম বিশ্ব সম্মেলন। তারপর থেকে বছরের পর বছর পরিবেশ সংক্রান্ত প্রচারে বিশ্ব পরিবেশ দিবস আন্তর্জাতিক মঞ্চে পরিণত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে কয়েক লক্ষ মানুষ আমাদের পৃথিবীকে রক্ষায় শপথ নিয়েছেন।
বিট প্লাস্টিক পলিউশন
কোট ডি আইভোয়ার দ্বারা আয়োজিত এবং নেদারল্যান্ডস দ্বারা সমর্থিত, এই বছরের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের থিমের লক্ষ্য হল প্লাস্টিক দূষণের সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা এবং তার বাস্তবায়ন। যা, বর্তমান সময়ের সবচেয়ে প্রাঞ্জল সমস্যাগুলোর অন্যতম। রাষ্ট্রসংঘের তথ্য অনুসারে, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ৪০০ মিলিয়ন টনেরও বেশি প্লাস্টিক উত্পাদিত হয়। যার অর্ধেক শুধুমাত্র একবার ব্যবহার করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশেরও কম পুনর্ব্যবহারযোগ্য। ফলস্বরূপ, আনুমানিক ১৯-২৩ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক প্রতিবছর হ্রদ, নদী এবং সমুদ্রে জমা হয়।
আরও পড়ুন- প্রত্যাহারের ঘোষণার পর, কত পরিমাণ ২,০০০ টাকার নোট জমা পড়ল ব্যাংকে?
সচেতনতা বাড়ানোই লক্ষ্য
গবেষণায় দেখা গেছে, ফেলে দেওয়া বা পোড়ানো একবার ব্যবহারের যোগ্য প্লাস্টিক মানুষের স্বাস্থ্য এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করে। পাহাড়ের চূড়া থেকে সমুদ্রের তল পর্যন্ত প্রতিটি বাস্তুতন্ত্রকে দূষিত করে। এই বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের থিম জনগণকে প্লাস্টিক দূষণের এই সব ক্ষতিকারক দিকের কথাই মনে করিয়ে দিয়েছে। বিশ্বে প্লাস্টিকের দূষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা বেড়েছে। যার জেরে ব্যবসায়ী থেকে সরকার, সকলেই পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছেন।