স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতকে একবার ব্যবহারের প্লাস্টিকমুক্ত করার ডাক দিয়েছেন। পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকার প্লাস্টিক আন্তর্জাতিক গবেষণার বিষয় এখন। সরকারি রিপোর্টেও এর উল্লেখ থাকে।
বিশ্ব জুড়ে যত প্লাস্টিক উৎপাদিত হয় তার ৭৫ শতাংশই বর্জ্য। এই বর্জ্য প্লাস্টিকের ৮৭ শতাংশ পরিবেশে গিয়ে মেশে। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ নিউক্যাসল এ ব্যাপারে একটি গবেষণা করেছে। সে গবেষণাপত্র এ বছর প্রকাশ করেছে ওয়ার্লড ওয়াইল্ডলাইফ ফাউন্ডেশন। তাতে বলা হয়েছে প্রতি সপ্তাহে একজন মানুষ গড়ে ৫ গ্রাম করে প্লাস্টিক হজম করে থাকেন। এক তৃতীয়াংশ প্লাস্টিক প্রকৃতিতে, বিশেষ করে জলে গিয়ে মেশে। মানুষকে যে প্লাস্টিক হজম করতে হয়, তার সিংহভাগই আসে ওই জল থেকেই। ট্যাপের জলে প্লাস্টিক ফাইবারের হদিশ মেলার হিসেবে ভারতের স্থান তৃতীয়। ভারতের ৮২.৪ শতাংশ ট্যাপের জলে প্রতি ৫০০ মিলিলিটারে ৪টির বেশি প্লাস্টিক ফাইবার পাওয়া যায় বলে ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে।
সূত্র- দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (২০১৭-১৮)
আরও পড়ুন, জয়া মিত্রের কলাম জল মাটি: পৃথিবীর পোশাক
ভারতে, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের প্লাস্টিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট রুলস সম্পর্কিত রিপোর্ট শেষ বার প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৭-১৮ সালে। ২০১৮ সালে এই নিয়মের কিছু পরিবর্তন হয়েছে। ২০১৭-১৮ সালের রিপোর্ট অনুসারে মাত্র ১৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের কাছে তাদের বার্ষিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এই ১৪টির মধ্যে উত্তর প্রদেশে প্রতি বছর ২.০৬ লক্ষ প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন করে। এই রাজ্যে মোট ১৬টি বেআইনি ম্যানুফ্যাচারিং বা রিসাইক্লিং ইউনিট রয়েছে। এর পরেই গুজরাটের অবস্থান। এখানে প্রতি বছর ২.৬ লক্ষ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এখানে অবশ্য ওই ধরনের কেনও ইউনিট নেই।
Read the Full Story in English