Advertisment

ED attaches cash: একের পর এক জায়গায় তল্লাশি, বিপুল অর্থ উদ্ধার, টাকাগুলো কোথায় রাখছে ইডি?

Lok sabha elections: বুধবার (২৭ মার্চ), এই কথোপকথনের অডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছে বিজেপি। পরে তৃণমূল অভিযোগ করেছে, এই কথোপকথনে আর্থিক প্রতিশ্রুতি দেওয়ার নামে প্রধানমন্ত্রী আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Screengrab of Amrita Roy, PM Modi

Screengrab of Amrita Roy-PM Modi: লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কৃষ্ণনগরের প্রার্থী অমৃতা রায় ও প্রধানমন্ত্রী মোদী। (ছবি- স্ক্রিনগ্র্যাব)

How ED attaches cash: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি বলেছেন যে তিনি রাজ্যে অভিযান চালানোর সময় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর সংযুক্ত করা প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকা পশ্চিমবঙ্গের দরিদ্র জনগণকে ফেরত দেওয়ার জন্য 'আইনি বিকল্প' খুঁজছেন।

Advertisment

প্রার্থীর সঙ্গে কথোপকথন

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপির কৃষ্ণনগরের প্রার্থী অমৃতা রায়ের সঙ্গে ফোনালাপের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এটা গরিব মানুষের টাকা। কেউ টাকা দিয়েছে শিক্ষক হওয়ার জন্য। কেউ টাকা দিয়েছে কেরানি হতে। আমি আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। যদি আমার আইনি পরামর্শ নতুন সরকারকে (লোকসভা ভোটের পর গঠিত) দেওয়া হয়, তাহলে তাঁদের গরিবদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য আইনি ব্যবস্থা, নিয়ম এবং উপায় তৈরি করতে হবে।'

'আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন'

বুধবার (২৭ মার্চ), এই কথোপকথনের অডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছে বিজেপি। পরে তৃণমূল অভিযোগ করেছে, এই কথোপকথনে আর্থিক প্রতিশ্রুতি দেওয়ার নামে প্রধানমন্ত্রী আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন। প্রশ্ন হল, ইডি কীভাবে এই নগদ অর্থ এবং অন্যান্য সম্পত্তি সংযুক্ত করে? প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএমএলএ) এর অধীনে মামলায় সন্দেহভাজনদের প্রাঙ্গনে তল্লাশি চালায় ইডি। সাধারণত অনুসন্ধান পরোয়ানা নিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছে যায় এবং অনুসন্ধান চালায়। তল্লাশির সময় উদ্ধারকৃত স্বতন্ত্র সাক্ষীদের উপস্থিতিতে বাজেয়াপ্ত করা হয় নগদ এবং বিভিন্ন জিনিসপত্র। বাজেয়াপ্ত নথির মেমোতে, উপস্থিত সাক্ষীদের দিয়ে সই করানো হয়।

আরও পড়ুন- অনেকটা পশ্চিমবঙ্গের মতই পরিস্থিতি! রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কেরল সরকার

বাজেয়াপ্ত নগদ ও সোনা নিয়ে ইডি কী করে?

ইডির বাজেয়াপ্ত করা নগদ, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক অঞ্চলে এই তদন্তকারী সংস্থার খোলা ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে জমা হয়। মামলার রায় না বের হওয়া পর্যন্ত টাকা অ্যাকাউন্টে থাকে। অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হলে, নগদ সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়। মামলায় অভিযুক্ত বেকসুর খালাস হলে, সুদ-সহ পুরো টাকা আসামিদের কাছে ফেরত দেওয়া হয়। বাজেয়াপ্ত করা সোনা বা অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র লকারে জমা থাকে। ২০১৮ সাল থেকে বিষয়টিকে আরও সহজ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ সরাসরি সরকারি কোষাগারে জমা হয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক বিভাগ এখন স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নামে পিডি অ্যাকাউন্ট খোলে। এই অ্যাকাউন্টগুলো জমা অর্থের ওপর কোনও সুদ দেয় না। নগদ এবং সোনা, উভয়ের ক্ষেত্রেই পদ্ধতি একই থাকে।

ED Money Laundering bjp tmc
Advertisment