PM Modi’s I-Day speech: জাতপাতের রাজনীতিতে বিভক্ত ভারতে পিছড়েবর্গ হিসেবে চার জাতের কথা আগেই উল্লেখ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই চার জাত হল- মহিলা, যুবক, কৃষক এবং দরিদ্র। লোকসভা নির্বাচনের সময় এই চার জাতের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এঁরাই দেশের 'সবচেয়ে বড় জাতি'। মোদী বলেছিলেন, 'আমার কাছে দেশে চারটি বড় জাতি রয়েছে। আমার কাছে সবচেয়ে বড় জাতি হল গরিব। আমার কাছে বড় জাত হল যুবক। বড় জাত হল নারী। বড় জাত হল কৃষক। এই চার জাতের উন্নতিই ভারতকে উন্নত করবে।' বৃহস্পতিবার ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেন। সেখানে তিনি যেন লোকসভা নির্বাচনের আগের বক্তব্যকেই একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন। জানালেন, ওই চার জাতের উন্নতিতে তাঁর সরকারের রূপরেখা।
নারী
ভারতের আনুমানিক ১৪০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে, ২০১১ সালের আদমশুমারির ওপর ভিত্তি করে ২০২৪ সালে মহিলাদের আনুমানিক সংখ্যা ৬৮ কোটি। কিন্তু তাদের সংখ্যা সত্ত্বেও, ভারতীয় কর্মজগতে নারীর প্রতিনিধিত্ব কম। পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রক (MoSPI) দ্বারা প্রকাশিত সর্বশেষ পর্যায়ক্রমিক শ্রম বাহিনী সমীক্ষা (PLFS) বলছে যে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে মাত্র ২০.৩% শহুরে মহিলা কর্মশক্তিতে ছিলেন। যেখানে কর্মক্ষেত্রে শহুরে পুরুষদের সংখ্যা ৫৮%। ২০২২-২৩ সালে, ৫৬.২% পুরুষের তুলনায় শহর ও গ্রামীণ ভারতের ২৭.৮% মহিলা সক্রিয়ভাবে কাজ করছিলেন বা কাজ খুঁজছিলেন। নারীরা কেবল কর্মশক্তিতেই অনুপস্থিত নন। তাঁরা পুরুষদের তুলনায় উচ্চ বেকারত্বের হারের সম্মুখীন।
আরও পড়ুন- ভারতের স্বাধীনতায় আদৌ সেনার কোনও অবদান আছে, ইতিহাস কী বলে?
২০২২-২৩ সালে কর্মশক্তিতে নারীর পরিস্থিতি ছিল ২.৯%। আর, পুরুষদের সংখ্যাটা ছিল ৫.৪%। কর্মক্ষেত্রে নারীদের প্রতিনিধিত্বই শুধু কম না। তাঁদের সাক্ষরতার হারও কম। পুরুষদের তুলনায় স্কুলে তাঁদের উপস্থিতির হার কম। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে (NFHS) অনুসারে, ২০১৯-২১ সালে পুরুষদের শিক্ষার হার ছিল ৮৪.৪%। সেই তুলনায় নারীশিক্ষার হার ৭১.৫%। আর ২০১৯-২১ সালে ১০ বছর বা তার বেশি সময় স্কুলে লেখাপড়া করেছে, এমন মহিলার পরিসংখ্যান ছিল ৪১%। আর, পুরুষদের পরিসংখ্যান ছিল ৫০.২%।
যুবক-কৃষক-দরিদ্র
ভারতে মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশের বয়স ১৫ থেকে ২৯ বছর। এই সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু, সেই তুলনায় কর্মসংস্থান নেই। যার ফলে, বেকারত্বের হারও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দারিদ্র। এই পরিস্থিতিতে দেশের কৃষক সম্প্রদায়কে আর্থিকভাবে চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছে সরকার। কারণ, কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির ওপর এই দেশ অনেকাংশ নির্ভরশীল। দেশের কৃষিজীবীদের আত্মহত্যার সংখ্যা আগের চেয়ে অনেকটাই কমেছে। সরকার চেষ্টা করছে কৃষিকে কেন্দ্র করে দেশের অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করাতে।