Indira Gandhi: সম্প্রতি কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহার নিয়ে নির্বাচনী জনসভা থেকে আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি দাবি করেছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মা-বোনেদের ঘরের সোনার গয়নাগাটি কেড়ে নেবে। এমনকী মঙ্গলসূত্র পর্যন্ত ছাড়বে না। তাতেও হাত দেবে। পাল্টা এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। তিনি বলেছেন, ভারত-চিন যুদ্ধের সময় ইন্দিরা গান্ধী নিজের গয়না দেশের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। এই দাবির নেপথ্যে সত্যিটা কী, আদৌ ইন্দিরা এই কাজ করেছিলেন? দেখে নিন ইতিহাস কী বলছে।
১৯৬২ সালের নভেম্বরে, লাদাখের চুশুল অঞ্চল থেকে দেশের উত্তর-পূর্ব অংশের ওয়ালং পর্যন্ত চিনা সৈন্যরা আধিপত্য বিস্তার করেছিল। সেইসময় প্রতিরোধ করলে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি অপ্রস্তুত এবং কপর্দকশূন্য ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। চিনা ফৌজের সঙ্গে লড়াই করার জন্য, জওহরলাল নেহরু সরকার বিজ্ঞাপন সম্প্রচার করে।
সেই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভারতের মহিলাদের প্রতি সরকার আহ্বান জানায়, তাঁরা যেন তাঁদের গয়নাগাটি সরকারকে দান করেন এবং নিজেদের অর্থ ও গরম পোশাক দিয়ে সেনাকে সাহায্য করে। তখন ১৫ বছর হয়েছে দেশ স্বাধীন হয়েছে। অর্থনীতি ধীরে ধীরে স্বাবলম্বী হচ্ছিল। ভারতের পক্ষে চিনের সঙ্গে যুদ্ধ করা প্রায় মৃত্যুর সমান ছিল।
আরও পড়ুন Rupee against US Doller: মোদী জমানায় দুর্বল হয়েছে ভারতীয় টাকা! জেনে নিন সত্যিটা
নেহরুর এই আহ্বানের পরেই তাঁর কন্যা এবং পরবর্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীও এই প্রচেষ্টায় তাঁর গয়না দেশের জন্য দান করেছিলেন। মঙ্গলবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তাঁর ভাষণে এমনটাই উল্লেখ করেছেন।
"১৯৬২ সালে চিনা আগ্রাসনের সময়, শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী এগিয়ে এসেছিলেন এবং তাঁর সমস্ত গয়না দেশের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন," কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে প্রচারিত একটি নিবন্ধে 'পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু: উদার পরিবারের সবচেয়ে উদার' শিরোনাম লিখেছেন শশী কুমার সিং।
বেজিং সেনা প্রত্যাহার করার পর ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। কিন্তু একটি বড় ট্র্যাজেডি হল যে পাঁচ দশক আগে দান করা অনেক সোনার অলঙ্কার এবং গয়না এখনও অবধি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভল্টে বিস্মৃত রয়ে গেছে, Scroll-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে।