আজ শুরু ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ। আয়োজক দেশ কাতার। আর, তাকে নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। এই মুসলিম রাষ্ট্রের মানবাধিকারের রেকর্ড অত্যন্ত খারাপ। ফুটবলের ইতিহাসটা খারাপ, নিলামে দুর্নীতি। এমন নানা অভিযোগ রয়েছে কাতারের বিরুদ্ধে। তার ওপর ইউক্রেনে হামলার জন্য রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা চেপেছে। যে কারণে, এই বিশ্বকাপে রাশিয়া অংশ নিতে পারছে না। এটাও এবারের ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলে যে রাজনৈতিক প্রভাবগুলো পড়েছে, তার অন্যতম। এটা অস্বীকার করা যায় না যে ফুটবল আর রাজনীতি পরস্পরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। তাই ফিফাও এক্ষেত্রে নিরপেক্ষ অবস্থান নিতে পারে না।
পশ্চিম জার্মানিতে ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে চিলি অংশগ্রহণ করেছিল নির্মম অগাস্টো পিনোচেটের নেতৃত্বে সামরিক অভ্যুত্থানের পটভূমিতে। পিনোচেট সালভাদর আলেন্দের নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করেছিল। আর, পরবর্তীকালে রাষ্ট্রপতিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। একবার চিলির এক ফাঁসির ময়দানকে বিশ্বকাপের প্লে অফের ম্যাচের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- কী ভাবতেন সাভারকার? তাঁকে নিয়ে মন্তব্য করে বোলতার চাকে ঢিল ছুড়েছেন রাহুল?
সোভিয়েত ইউনিয়ন সেই মাঠে খেলতে চায়নি। তার জেরে ফিফা সোভিয়েত ইউনিয়নকে গোটা টুর্নামেন্টই নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। চিলিকে নির্দিষ্ট সময়েই ওই স্টেডিয়ামে হাজির থাকতে নির্দেশ দেয়। রাশিয়ার খালি বারপোস্টের জালে চিলির ফুটবলার একটি বল শট মেরে জড়িয়ে দেন। আর, ফিফা ওই ম্যাচে চিলিকে ১-০ গোলে জয়ী ঘোষণা করে। আর, চিলি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলে। আয়োজক পশ্চিম জার্মানির সঙ্গে চিলির ম্যাচে বার্তি ভোগসকে কড়া ট্যাকলের জন্য চিলির কার্লোস ক্যাসজেলি লাল কার্ড দেখেছিলেন।
কয়েক বছর পরে চিলিতে স্পষ্টবাদী রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য আইকন হয়ে ওঠা ক্যাসজেলি টিভি সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন যে ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগে তাঁকে জানানো হয়েছিল যে বাড়িতে তাঁর মাকে পিনোচেটের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সেটা খেলার সময়ও তাঁর মনে দারুণ প্রভাব ফেলে। আর, তিনি মাথা গরম করে ওভাবে ট্যাকল করে বসেন।
Read full story in English