গত ৬০ বছরে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা হ্রাস হল চিনে। ১৯৬১-র পর চিনে এত জনসংখ্যা কখনও কমেনি। এর ফলে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ হওয়ার পথে ভারত একধাপ এগোল। চিন সরকার এর পিছনে তাদের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতিকে কৃতিত্ব দেওয়ার চেষ্টা করেছে। যদিও বেসরকারি মতে, চিনের এই বিপুল জনসংখ্যা হ্রাসের পিছনে করোনার প্রভাবও দায়ী। যার জেরে চিনে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, সেকথা স্বীকার করছে না বেজিং।
সরকারি পরিসংখ্যান
চিনে গতবছর জনসংখ্যা কমেছে সাড়ে ৮ লক্ষ। ২০২২ সালের শেষের দিকে তা কমে হয়েছে ১৪১ কোটি। পাশাপাশি, চিন সরকার জানিয়েছে, সেদেশে ৯০.৫৬ লক্ষ মানুষ জন্মগ্রহণ করেছে। মারা গিয়েছেন ১ কোটি ৪১ লক্ষ মানুষ। ১৯৬১ সালের পর এমন বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যা হ্রাস হল। ১৯৬১ সালে চিনে ব্যাপক দুর্ভিক্ষে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। মাও সেতুং চিনের রাষ্ট্রীয় নীতি বদল করায় এই দুর্ভিক্ষ ঘটেছিল।
চিন সরকারের কথা
চিনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রধান কাং ই অবশ্য সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে জনসংখ্যা হ্রাস নিয়ে জনগণের অযথা উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়। কারণ, 'সামগ্রিক শ্রম সরবরাহ এখনও চাহিদার চেয়ে বেশি।' চিনের জন্মহার গত বছর প্রতি ১,০০০ জনে ছিল ৬.৭৭ শতাংশ। যা ২০২১ সালের হার ৭.৫২ শতাংশের চেয়ে কম এবং নথিতে সর্বনিম্ন জন্মহার হিসেবে চিহ্নিত।
আরও পড়ুন- ‘জুনের পরই দেশে মন্দা আসছে’, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বেফাঁস মন্তব্যে অস্বস্তিতে বিজেপি
এক শিশু নীতি
চিনে জনসংখ্যা হ্রাসের অন্যতম কারণ হল ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে আরোপিত একসন্তান নীতি। এই নীতিতে দম্পতির শিশুসন্তানের সংখ্যা সীমিত করে একটি রাখার কথা বলা হয়েছিল। চিন সরকারের দাবি, এই নীতি প্রায় ৪০ কোটি জন্ম রোধ করতে সাহায্য করেছে। কিন্তু, শ্রমজীবী জনসংখ্যার অনুপাত কমতে শুরু করায়, চিন সরকারের ওই নীতিটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে ওঠে।
চিনের পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে যে ১৬ থেকে ৫৯ বছর বয়সি শ্রমজীবী জনসংখ্যা মোট ৮৭৫.৫৬ মিলিয়ন। যা চিনের মোট জনসংখ্যার ৬২.০%। আর, ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সিদের সংখ্যা মোট ২০৯.৭৮ মিলিয়ন। যা মোট জনসংখ্যার ১৪.৯%। পুরুষের সংখ্যা ৭২২.০৬ মিলিয়ন। মহিলাদের সংখ্যা ৬৮৯.৬৯ মিলিয়ন। যা পুরুষ সন্তানের পছন্দের প্রতিফলন।
Read full story in English