Speaker post crucial for BJP and its allies: লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে। এবার স্পিকার পদ নিয়ে জল্পনা অব্যাহত। কারণ, স্পিকার পদটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর, সেই কারণে প্রত্যেক শাসক দল বা শাসক জোট চায় স্পিকার পদে নিজেদের কাউকে বসাতে।
১৮তম লোকসভা অধিবেশন
এসব নিয়ে শুরু হবে ১৮তম লোকসভা অধিবেশন। শাসক জোট এনডিএর মধ্যে আবার বিজেপি, টিডিপি এবং জেডি (ইউ)- প্রত্যেকই চায় নিজেদের কাউকে স্পিকার করতে। স্পিকার নির্বাচনের আগে প্রোটেম বা অস্থায়ী স্পিকার পদে সবচেয়ে পুরোনো সাংসদকে বেছে নেওয়া হয়। তিনি লোকসভার সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান। এরপর স্পিকারকে সংসদকক্ষের পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা
সংবিধানের ৯৩ ধারা অনুযায়ী, লোকসভা শুরু হওয়ার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত করতে হবে। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে স্পিকার নির্বাচিত হন। হাউস ভেঙে যাওয়ার পর স্পিকারের মেয়াদ শেষ হয়। তবে, স্পিকার পদত্যাগ করলে বা আগেই পদ থেকে অপসারিত হলে, সেটা আলাদা ব্যাপার। সংবিধানের ৯৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ১৪ দিনের নোটিশ দিয়ে স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা যেতে পারে। অর্থাৎ, হাউসের অন্য সদস্যদের মত স্পিকারের বিরুদ্ধেও অযোগ্যতার অভিযোগ আনা যেতে পারে।
যে কোনও সাংসদ স্পিকার হতে পারেন
এমনিতে স্পিকার হওয়ার জন্য কোনও নির্দিষ্ট যোগ্যতা নেই। যার অর্থ, যে কোনও সাংসদ স্পিকার হতে পারেন। তবে স্পিকার পদটি সংসদের অন্যান্য সদস্যদের থেকে আলাদা। লোকসভায় স্পিকারের চেয়ারে বসা থেকে শুরু করে তাঁর কাস্টিং ভোট দেওয়া। সংসদের কাজকর্ম পালন করা। সদস্যদের ভুল-ত্রুটি নির্ধারণের মত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক কাজ স্পিকারই করে থাকেন। যার অর্থ, স্পিকার লোকসভায় প্রিসাইডিং অফিসারের ভূমিকা পালন করেন। স্পিকারের বেতন সংসদের বাকি সদস্যদের যেখান থেকে বেতন দেওয়া হয়, সেখান থেকে আসে না। স্পিকারের বেতন আসে ভারতের একত্রিত তহবিল (Consolidated Fund of India) থেকে।
আরও পড়ুন- শুরুতেই মতভেদ! ‘অগ্নিপথ’ নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তি এনডিএ শিবিরে
স্পিকারের ক্ষমতা
সংসদ কীভাবে পরিচালনা করা হবে, সেই ব্যাপারে স্পিকার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি সংসদের নেতা বা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সরকারী কাজকর্ম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন। সদস্যদের কোনও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে বা কোনও বিষয়ে আলোচনা করার জন্য আগে থেকে স্পিকারের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন।