মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট কর্ণাটক লোকায়ুক্তের দায়ের করা আবেদনের শুনানি করতে সম্মত হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ মোকাবিলা করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত একটি রাষ্ট্রীয় পদাধিকারী হল লোকায়ুক্ত। এই লোকায়ুক্ত কর্ণাটক হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। কর্ণাটক হাইকোর্ট বিজেপি বিধায়ক মাদল বীরুপাক্ষপ্পার প্রাক-গ্রেফতারি জামিন মঞ্জুর করেছে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন লোকায়ুক্ত। মাদল বীরুপাক্ষপ্পা কর্ণাটকের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কর্ণাটক সোপস অ্যান্ড ডিটারজেন্টস লিমিটেড (KSDL)-এর চেয়ারম্যান পদেও কাজ করেছেন।
কীভাবে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছল?
৬ মার্চ, বীরুপাক্ষপ্পা বেঙ্গালুরুর একটি দেওয়ানি আদালতে যান। তিনি ৪৫টি মিডিয়া সংস্থার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলায় মানহানিকর মিডিয়া রিপোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা পান। একদিন পরে, বিধায়ক আগাম বা গ্রেফতারের আগে জামিনের জন্য কর্ণাটক হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। যা বিচারপতি কে নটরাজন বিধায়ক তদন্তে সহযোগিতা করবেন, এই সাপেক্ষে অনুমোদন করেছিলেন। এরপরে কর্ণাটক লোকায়ুক্ত কর্ণাটক হাইকোর্টের গ্রেফতারির পূর্বে জামিনের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন দায়ের করেন।
আগাম জামিন কখন দেওয়া হয়?
ধারা ৪৩৮-এর অধীনে আগাম জামিন মঞ্জুর করা যেতে পারে। যখন কোনও ব্যক্তির বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে তাঁকে একটি অজামিনযোগ্য অপরাধ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হতে পারে। এই ধারার অধীনে হাইকোর্ট বা দায়রা আদালত অজামিনযোগ্য অপরাধের জন্য জামিন মঞ্জুর করতে পারে। যাঁর গ্রেফতারি প্রত্যাশিত, তাঁকে যদি গ্রেফতার করা না-হয় অথবা তাঁর বিরুদ্ধে যদি এফআইআরও না-হয়, তাহলেও আগাম জামিন দেওয়া যায়। কারণ, জামিন অযোগ্য অপরাধে কারাদণ্ড তিন বছর বা তারও বেশি।
আরও পড়ুন- মরিশাসের ইলারা আদানি গ্রুপের অন্যতম মালিক, ঘুরিয়ে কাজ করছে দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে
উপধারার অধীনে আগাম জামিনের আবেদনের বিবেচনা
২০০৫ সালে ৪৩৮ ধারা সংশোধন করা হয়েছিল। এই সংশোধন অনুযায়ী কিছু উপধারার অধীনে আগাম জামিনের বিষয়টি বিবেচিত হয়। এই উপধারাগুলো অনুযায়ী দেখা হয় আবেদনকারীর পালানোর সম্ভাবনা আছে কি না, সে একজন অভ্যাসগত অপরাধী কি না, অথবা আবেদনকারী প্রমাণ নিয়ে কোনও কারচুপি করেছে কি না, অথবা তাকে কোনও আমলযোগ্য অপরাধের জন্য অতীতে গ্রেফতার করা হয়েছিল কি না।