Advertisment

বিশ্লেষণ: প্রি স্কুলের পাঠক্রমে মাতৃভাষায় কেন জোর দিল এনসিইআরটি?

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সর্ব দিক থেকে উন্নতি এবং সারা জীবনের শিক্ষার শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করাই প্রিস্কুল শিক্ষার দুটি কেন্দ্রীয় লক্ষ্য। সেখানে আরও বলা হয়েছে, প্রি স্কুলের বাণিজ্যিকীকরণ শিশুদের শেখার উৎসাহের পক্ষে ক্ষতিকর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NCERT, Pre School

পাঠক্রমকে সাজানো হয়েছে ক্লাস ওয়ানের আগের তিন বছরকে ধরে

ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি) সোমবার তাদের প্রিস্কুল পাঠক্রম প্রকাশ করেছে। তাতে যেসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তার অন্যতম হল প্রিস্কুলে যারা যাচ্ছে তাদের শেখাতে হবে মাতৃভাষায় বা বড়ির ভাষায়। কাউন্সিল প্রিস্কুল শিক্ষাকে সংজ্ঞায়িত করেছে ৩ থেকে ৬ বছর বয়সীদের, অর্থাৎ ক্লাস ওয়ানে ওঠার আগে পর্যন্ত যে শিক্ষা দেওয়া হয়। একে প্রি প্রাইমারি শিক্ষাও বলা হয়ে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি, নার্সারি স্কুল, প্রি স্কুল, প্রেপারেটরি স্কুল এবং কিন্ডারগার্টেন।

Advertisment

পাঠক্রমকে সাজানো হয়েছে ক্লাস ওয়ানের আগের তিন বছরকে ধরে। এতে মা-বাবা, শিক্ষক, নীতি প্রণয়নকারী, প্রশাসক এবং অন্য যাঁরা প্রি স্কুলের শিক্ষার লক্ষ্য এবং ভাল মানের শিক্ষা প্রদানের জন্য সাহায্য করে থাকেন, তাঁদের সবার ভূমিকা নির্দিষ্ট করা হয়েছে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সর্ব দিক থেকে উন্নতি এবং সারা জীবনের শিক্ষার শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করাই প্রিস্কুল শিক্ষার দুটি কেন্দ্রীয় লক্ষ্য। সেখানে আরও বলা হয়েছে, প্রি স্কুলের বাণিজ্যিকীকরণ শিশুদের শেখার উৎসাহের পক্ষে ক্ষতিকর।

এ ধরনের পাঠক্রমের প্রয়োজনীয়তা

রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রিস্কুল শিক্ষায় বর্ধিত প্রয়োজন এবং নতুন ধরনের কারণেই এরকম পাঠক্রম প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। বর্তমান পাঠক্রম যাতে সামগ্রিক, উন্নতির ক্ষেত্রে যথাযথ, স্থানিক, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলা ও অ্যাকটিভিটি নির্ভর হয় তা সুনিশ্চিত করতেই এই পাঠক্রম। এই পাঠক্রমের যে সব নীতির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে নিউরোবায়োলজিক্যাল গবেষণা, যাতে দেখা গিয়েছে অল্প বয়সে মস্তিষ্কে নির্দিষ্ট পথ স্থির হয়ে যায়।

এই পাঠক্রমে শিক্ষাদানের মাধ্যম সম্পর্কে কী বলা হয়েছে?

মাতৃভাষা হল বাড়িতে একজন শিশু যে ভাষা শেখে। বাড়ির ভাষা হল একটি পরিবারের লোকজন সাধারণভাবে যে ভাষায় কথা বলে। এই পরিচ্ছেদে প্রিস্কুলশিশুদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করতে হিয়ে বলা হয়েছে, শেখানোর মাধ্যম হওয়া উচিত মাতৃভাষা বা বাড়ির ভাষা। ভাষা শিশুদের পরিচয় ও ভাবগত নিরাপত্তার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত এবং ভাষার মাধ্যমেই তারা নিজেদের ভাবনা ও অনুভূতি প্রকাশ করে। রিপোর্টে বলা হয়েছে বহুভাষী দেশে ভাষা একটি জটিল বিষয় যেখানে শিশুরা প্রিস্কুলে আসতে পারে যেখানে তাদের বাড়ির ভাষা এক ও প্রিস্কুল বা আঞ্চলিক ভাষা আলাদা। গবেষণার উল্লেখ করে রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, যেসব শিশুরা মাতৃভাষার প্রিস্কুলে যায় তারা উপলব্ধির ক্ষেত্রে কম সমস্যার মুখে পড়ে।

রিপোর্টে শিশুদের সাইন ল্যাঙ্গুয়েজের সঙ্গে পরিচয় করানোর কথাও বলা হয়েছে।

পাঠক্রম

বৃহত্তর ক্ষেত্রে এই পাঠক্রমের তিনটি লক্ষ্য- সুস্বাস্থ্য ও ভাল থাকা বজায় রাখা, যোগাযোগের স্কিল বাড়ানো এবং লিপ্ত শিক্ষা (involved learning)য় উৎসাহ প্রদান ও পরিবেশের সঙ্গে শিশুদের সংযুক্ত করা। সেক্ষেত্রেও ধরে নেওয়া যেতে পারে পাঠক্রম তৈরি করা হয়েছে একথা ধরে নিয়েই যে তিন বছর বয়সী শিশু প্রিস্কুলে যেতে পারে।

প্রিস্কুল ১ ৩-৪ বছর বয়সী শিশুদের, প্রি স্কুল ২ ৪-৫ বছরের শিশুদের জন্য এবং প্রিস্কুল ৩ ৫-৬ বছরের শিশুদের জন্য।

Read the Full Story in English

Advertisment