Fuelled by Pakistan’s economic crisis: আর্থিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তান। তার প্রভাব পড়েছে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরেও। বিক্ষোভকারীরা খাদ্য, জ্বালানি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের বিরুদ্ধে সরব। বিক্ষোভ পথে নেমে এসেছে। শুক্রবার, ১০ মে থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভের জেরে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন পুলিশ আধিকারিক প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৯০ জন। পাকিস্তানের গণমাধ্যম সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
ক্রমবর্দ্ধমান বিক্ষোভ
এই অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের নেতৃত্বাধীন সংগঠন, জয়েন্ট আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির প্রায় ৭০ জন সদস্যকে খাদ্য, জ্বালানি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের প্রতিবাদে ধর্মঘটের সময় গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকেই হিংসাত্মক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। পাকিস্তানে আর্থিক সংকট এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির ফলে জনগণ ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ব্যবসায়ীদের একটি অংশ আবার ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পিওকেতে বিক্ষোভ
বিদ্যুৎ এবং খাদ্যদ্রব্যের উচ্চমূল্যের প্রতিবাদে শুক্রবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাজপথে নেমেছেন ব্যবসায়ীরা। ২০২৩ সালের আগস্টেও বিদ্যুতের উচ্চমূল্যের বিরুদ্ধে একইরকম বিক্ষোভ পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ছড়িয়েছিল। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজফফরাবাদ, সেখানকার বৃহত্তম শহর। দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি সেখানকার গণপরিবহণ, দোকানপাট, বাজার, ব্যবসা- সবকিছুরই ক্ষতি করেছে। তারই প্রতিবাদে মিরপুর এবং মুজাফফরাবাদ বিভাগে বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারী ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন। পরিস্থিতি সামলাতে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর রেঞ্জার্সদের ডাকা হয়েছিল।
পরিস্থিতি দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ
ক্রমবর্ধমান জ্বালানি খরচের জন্য পাকিস্তানের অর্থনীতি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বিপন্ন। মুদ্রাস্ফীতি ক্রমশ বাড়ছে। আর্থিক বৃদ্ধির হাল অত্যন্ত খারাপ। ভোক্তা মূল্যস্ফীতি ২০২২ সালের মে থেকে ২০%-এর ওপরে। আর, ২০২৩ সালের মে মাসে তা ৩৮%-কে স্পর্শ করেছে। এমনটাই দাবি করেছে, পাকিস্তানের দৈনিক সংবাদপত্র ডন।
আরও পড়ুন- ভারতেও দেখা গেল অরোরা আলো, লাদাখ থেকে এগুলো দেখতে পাওয়ার কারণ কী?
বৈষম্যের অভিযোগ
পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের নেতাদের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে পাকিস্তান সরকার বৈষম্য করে থাকে। তার ওপর, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার পর ভারতে পাকিস্তানি পণ্য যেমন শুকনো খেজুর, রক সল্ট, সিমেন্ট এবং জিপসামের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ২০০% করা হয়েছে। যার জেরে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ব্যবসায়ীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কারণ, ভারতে পাকিস্তানের পণ্যের বিক্রি কমে গেছে। ২০১৮ সালে পরিমাণটা ছিল প্রতিমাসে ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেটাই ২০১৯ সালের মার্চ থেকে জুলাইয়ের মধ্যে কমে হয়েছে, প্রতিমাসে ২.৫ মিলিয়ন ডলার। এমনটাই দাবি পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের।