সোমবার দিল্লির যন্তর মন্তরে প্রতিবাদী কুস্তিগিররা জানিয়েছেন যে তাঁরা নারকো পরীক্ষার মুখোমুখি হতে তৈরি। তবে, তাঁদের শর্ত যে এই নারকো পরীক্ষা সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে করাতে হবে। যন্তর মন্তরে এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের তরফে বজরং পুনিয়া বলেন, 'আমরা অনেক আগে এই নারকো পরীক্ষার কথা বলেছিলাম। আমরা অনেক দিন ধরেই এটা বলে আসছি। আর, এজন্য আমরা প্রস্তুত। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে নারকো পরীক্ষা হওয়া উচিত। আর, এমনভাবে করা উচিত, যাতে গোটা দেশ এটা দেখতে পায়।'
ব্রিজভূষণের প্রস্তাব
রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার (ডব্লিউএফআই) সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় প্রতিবাদী কুস্তিগিররা এই মন্তব্য করা করেছেন। ব্রিজভূষণ বলেছেন যে তিনি নারকো বা অন্য যে কোনও মিথ্যা সনাক্তকারী পরীক্ষার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। তবে ব্রিজভূষণের শর্ত যে ভিনেশ ফোগত ও বজরং পুনিয়াকেও এই পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে।
নারকো টেস্ট কী?
একটি 'নার্কো' বা নারকো পরীক্ষায়, সোডিয়াম পেন্টোথাল নামে ড্রাগ পরীক্ষার্থীর শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হয়। এই ড্রাগ পরীক্ষার্থী ব্যক্তিকে সম্মোহনী বা স্থবির অবস্থায় নিয়ে যায়। যেখানে তাঁদের কল্পনা নিরপেক্ষ হয়। এই সম্মোহনী অবস্থায়, অভিযুক্ত মিথ্যা বলতে অক্ষম বলে মনে করা হয়। আর, তাঁর কাছ থেকে সত্য তথ্য বেরিয়ে আসে বলে আশা করা হয়।
আরও পড়ুন- নতুন সংসদ ভবনে বসবে ‘সেঙ্গোল’, জানেন এর কাহিনি? তাজ্জব হয়ে যাবেন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহার
সোডিয়াম পেন্টোথাল, বা সোডিয়াম থিওপেন্টাল, একটি দ্রুত এবং স্বল্প-সময়ের চেতনানাশক। যা অস্ত্রোপচারের সময় রোগীদের শান্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি বারবিটুরেট শ্রেণির ওষুধের মধ্যে পড়ে। যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের ওপর কাজ করে। যেহেতু ড্রাগটি মিথ্যা বলার ব্যাপারে কোনও ব্যক্তির সংকল্পকে দুর্বল করে দেয় বলে চিকিৎসকদের বিশ্বাস, তাই এই ড্রাগকে কখনও কখনও একটি 'সত্য সিরাম' হিসাবে উল্লেখ করা হয়। কথিত আছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই নারকো পরীক্ষা ব্যাপকহারে চালু করেছিল।