টিকাকরণ শুরু হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আশঙ্কা সত্যি করে দেশে ফের বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা সংক্রমণ। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তো বৃদ্ধি হয়েছে পাশাপাশি পুনেতে প্রতি দিনের আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটা। কোভিড সংক্রমণে বেঙ্গালুরুকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এই জেলা। চার মাসের মধ্যেই করোনার এমন প্রাবল্য কিছুটা চিন্তা বৃদ্ধি করেছে।
পুনেতে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হল ৪.০৬ লক্ষ। সেখানে বেঙ্গালুরুতে ৪.০৪ লক্ষ। দিল্লিতে সেই সংখ্যা ৬.৩৮ লক্ষ। গত চার দিনে পুনেতে একাধিক অনুষ্ঠানও ছিল। তাই গত আট দিনে সেখানে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার। দেশের সর্বত্র করোনা নির্মূল হয়নি। তবে কিছুটা কমতির দিকে। যদিও দিল্লি ও বেঙ্গালুরুতে কয়েক'শ নয় সংক্রমণ পৌঁছেছে হাজারে। যা দেশের মধ্যে সর্বাধিক।
অন্যদিকে, পাঞ্জাবের চিত্রও কম বেশি একই। অতিমারী তৈরি করা ভাইরাসের সংখ্যা প্রবলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত তিন দিনে ৫০০ এর বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত সেই সংখ্যা পৌঁছেছে ৬২২। যা চলতি বছরে সর্বোচ্চ। ডিসেম্বরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা অমরিন্দর সিংয়ের রাজ্য ছিল ২৫০০। পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যু সংখ্যাও। দৈনিক মৃত্যু পৌঁছেছে ডাবল ডিজিটে। মহারাষ্ট্র ছাড়া পাঞ্জাব সেই প্রদেশ যেখানে দৈনিক আক্রান্ত সংখ্যা এখন দ্বিগুণ। পাঞ্জাবের লুধিয়ানা, এসবিসি নগর, হোশিয়ারপুর, জলন্ধর জেলায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের খবর সামনে এসেছে।
দেশের আরেক এক রাজ্য হল গোয়া। যেখানে গত তিন সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে সংক্রমণ সংখ্যা। কোভিড অতিমারীর প্রথম ধাপে এতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি গোয়া, যতটা এখন হচ্ছে।
তবে ভারতে সবচেয়ে বেশি চিন্তা বাড়িয়ে চলছে মহারাষ্ট্র। গত তিন দিনে উদ্ধব ঠাকরের রাজ্যে ৮ হাজার জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এই মাসের শুরু থেকেই বেড়েছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা। বর্তমানে মোট করোনা অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ৬৭ হাজার। দেশের অন্য রাজ্যগুলিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। কেন্দ্রের তরফে সংক্রমণ মোকাবিলা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চলছে। করোনা রুখতে প্রয়োজনে আরও কড়া বিধি-নিষেধ আরোপের বার্তা দেওয়া হয়েছে মাহারাষ্ট্র সরকারকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন