Advertisment

সাংসদ পদ হারালেন রাহুল, সরকারি বাংলোও ছিনিয়ে নেওয়া হবে! কী কী হবে এবার জানুন

লোকসভা সচিবালয় একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছে যে ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ থেকে ওয়েনাডের সাংসদের লোকসভা সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
rahul gandhi defamation case, disqualifcation, disqualified, lok sabha, MP, rahul gandhi surat case, Rahul Gandhi criminal defamation case, Rahul Gandhi, Rahul Gandhi conviction, Narendra Modi surname defamation case, BJP, Congress, indian express, political pulse

বিরাট ধাক্কা রাহুলের, আর সাংসদ নন কংগ্রেস নেতা, সদস্যপদ খারিজ করে দিলেন লোকসভার স্পিকার। এদিকে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, “সত্যি কথা বলার জন্য রাহুল গান্ধীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। রাহুল ওবিসি সমাজ অর্থাৎ অনগ্রসর শ্রেণীকে অপমান করেননি। ” রাহুল গান্ধীকে এখন উচ্চ আদালতে সুরাট আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করতে হবে।

Advertisment

সুরাটের আদালত কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করার একদিন পরে, লোকসভা সচিবালয় একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছে যে ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ থেকে ওয়েনাডের সাংসদের লোকসভা সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের "মোদী" পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে মানহানির মামলায় সুরাটের একটি আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। রাহুলকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

কী রায় দিল সুরাট আদালত?

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচএইচ ভার্মা ২০১৯ সালের একটি মানহানির মামলায় গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করেন। 'কেন সব চোরদের পদবী মোদী' মন্তব্যের জন্য, এবং তাকে দুই বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের দৌড়ে কর্ণাটকের কোলারে একটি সমাবেশে এই মন্তব্য করেন কংগ্রেস সাংসদ। যার জেরেই ২ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় সুরাটের এই আদালত। এর পর আদালত ১৫হাজার টাকার ব্যক্তিগত বণ্ডে রাহুল গান্ধীর জামিনও মঞ্জুর করে এবং তাকে আপিল করার অনুমতি দেওয়ার জন্য ৩০ দিনের জন্য রাহুলের সাজার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত।

রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্যপদ ছিনিয়ে নেওয়া! সরকারি বাংলোও ছাড়তে হবে, জেনে নিন নিয়ম

কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে মোদীর নাম নিয়ে মন্তব্য করার জন্য সুরাটের আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে। এই ঘটনায় শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাহুল গান্ধীর লোকসভা সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। লোকসভা সচিবালয়ের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, সুরাট আদালতের রায়ের প্রেক্ষিপ্তে ওয়ানাড সাংসদের সদস্যপদ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংসদ সদস্যপদ বাতিলের পর এখন প্রশ্ন উঠছে রাহুল গান্ধীকে কি এখন বাংলো খালি করতে হবে? এমনটা হলে রাহুল গান্ধী কোথায় থাকবেন?

GPRA অধীনে সংসদ সদস্যদের সরকারি বাংলো বরাদ্দ করা হয়। রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্যপদ খারিজ হওয়ার পর এখন তাকে নিয়ম অনুযায়ী সরকারি বাংলো খালি করতে হবে। তবে এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের এস্টেট অফিসার তাদের কাছে নোটিশ জারি করবেন। যার জবাব দিতে হবে তিন দিনের মধ্যে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, একটি সরকারি বাংলো বরাদ্দ বাতিল হওয়ার পরে, সাধারণত দখলকারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে বাংলোটি খালি করতে বলা হয়। তবে, এর মধ্যে, যদি দখলকারীর পক্ষে দিল্লি হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হয়, তবে মামলার শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলো খালি করার প্রক্রিয়া বন্ধ করা যেতে পারে।

রাহুল গান্ধীর ক্ষেত্রে সুরাট আদালতের নির্দেশ এবং সংসদ সদস্যপদ বাতিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে কংগ্রেস। যার কারণে রাহুল গান্ধীকে এখনই বাংলো খালি করতে হবে না। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্ট বা দিল্লি হাইকোর্ট যদি রাহুল গান্ধীর সাজা স্থগিত না করে, তাহলে তাঁকে সরকারি বাংলো খালি করতে হবে।

জনপ্রতিনিধিত্ব আইন কী?

জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫১-এর ৮ (১) এবং (২) ধারা অনুসারে, যদি কোনও সংসদ সদস্য বা বিধায়ক হত্যা, ধর্ষণ, ধর্ম, ভাষা বা অঞ্চলের ভিত্তিতে শত্রুতা সৃষ্টি করেন তবে তার সংসদ সদস্যপদ বাতিল করা হবে। এছাড়াও, একই আইনের ৮(৩) ধারায় একটি শাস্তির বিধান রয়েছে যে দু বছরের সাজা হলেই একজন বিধায়ক বা সংসদের সদস্যপদ বাতিল করা হতে পারে।

এই আইনের ভিত্তিতে, কংগ্রেস নেতা ও সাংসদ রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ বাতিল হতে পারে। তবে এখানে একটি বিষয় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার তারিখ থেকে “তিন মাস অতিবাহিত হওয়ার পরে” সেটি কার্যকর হয়৷ সেই সময়ের মধ্যে, রাহুল গান্ধী হাইকোর্টে সাজার বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেন। সেক্ষেত্রে উচ্চাদালতের রায়ের ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে রাহুলের সদস্যপদ বাতিলের প্রশ্ন।

রাহুল গান্ধীকে নিয়ে সুরাট আদালতের রায়ে বেজায় চটেছেন রাহুল অনুগামীরা। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক সিএম গেহলট বলেছেন, ‘বিচার বিভাগ চাপের মধ্যে কাজ করছে”। তিনি বলেন, ‘রাহুল গান্ধীর মন্তব্য সাধারণ একটি রাজনৈতিক মন্তব্য। আগেও এমন অনেক বিবৃতির নজির রয়েছে’।

‘মোদী পদবীকে নিয়ে রাহুলের মন্তব্যের প্রেক্ষিপ্তে’ দায়ের করা ফৌজদারি মানহানির মামলায়, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে গুজরাটের সুরাটের একটি আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং ২ বছরের সাজা ঘোষণা করেছে। যদিও পরে জামিন পান রাহুল। রাহুলের ‘মোদী উপাধি’ নিয়ে মন্তব্য করার জন্য তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অন্যদিকে, আদালতের এমন রায়কে ঘিরে, কংগ্রেস নেতাদের প্রতিক্রিয়া এখন সামনে আসছে যেখানে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেছেন যে আমাদের গণতন্ত্র হুমকির মুখে কারণ বিচার বিভাগ, ইডি এবং তাদের অপব্যবহার করা হচ্ছে। .

অন্যদিকে, রাহুল গান্ধীকে নিয়ে রায়ের পর রাজস্থান কংগ্রেসের সভাপতি গোবিন্দ সিং দোতাসারা বলেছেন, কংগ্রেস দল তার সঙ্গে রয়েছে। সারা দেশের কংগ্রেস কর্মীরা রাহুল গান্ধী এবং তার আদর্শের পাশে রয়েছে’। গেহলট বলেন, ‘অটল বিহারী বাজপেয়ী, আদবাণী সবাই এ ধরনের বক্তব্য পেশ করেছেন, কিন্তু সেই সময় এ ধরনের বক্তব্য্র জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে রাহুল গান্ধীর বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী মোদী সম্পর্কে নয়, এটি একটি রাজনৈতিক অভিযোগ যা জনসাধারণের কাছে একটি সাধারণ বার্তা’।

একই সময়ে, জয়পুরে কংগ্রেসের বিক্ষোভের সময় কংগ্রেস সভাপতি গোবিন্দ সিং দোতাসারা বলেছিলেন যে দেশে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের অপব্যবহার করে মানুষকে ভয় দেখানোর কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যারা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছেন তাদের বিরুদ্ধে এইসব এজেন্সি ব্যবহার করে ভয় দেখানোর কাজ চলছে।

প্রসঙ্গত, সুরাটের এক আদালত বৃহস্পতিবার তাঁকে ফৌজদারি মানহানির জন্য দোষী সাব্যস্ত করার পরে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। আর, এটার নেপথ্যে ১০ জুলাই, ২০১৩ সালে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের এক যুগান্তকারী রায়ের জেরে। তার আগে আইন ছিল, দোষী সাব্যস্ত সাংসদ, বিধায়ক, বিধান পরিষদ সদস্যদের সমস্ত বিচার প্রক্রিয়া শেষ না-হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আসন ধরে রাখার অনুমতি পাবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত পাবেন, যতক্ষণ না সুপ্রিম কোর্টে তাঁরা দোষী সাব্যস্ত হন।

সুপ্রিম কোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন মনমোহন সিংয়ের সরকার একটি অধ্যাদেশ বা অর্ডিন্যান্স জারি করেছিল। কিন্তু, সেই অধ্যাদেশ ছিঁড়ে ফেলে বিক্ষোভ দেখান রাহুল। কংগ্রেসে তাঁর সমর্থকরাও এই বিক্ষোভে শামিল হয়েছিল। যার জেরে সরকার অধ্যাদেশ বা অর্ডিন্যান্সটি ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়।

লিলি থমাস বনাম ভারত সরকার মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল যে, ‘কোনও সাংসদ, বিধায়ক বা বিধান পরিষদ সদস্য, যিনি অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং ন্যূনতম ২ বছরের সাজা পেয়েছেন, তিনি অবিলম্বে সংসদের সদস্যপদ হারাবেন।’ শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশ জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ধারা ৮(৪)-কে ‘অসাংবিধানিক’ তকমা দিয়ে বাতিল করেছিল। আগের আইন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দোষমুক্ত হওয়ার সুযোগ দিতে উচ্চ আদালতে আবেদনের জন্য তিন মাসের ছাড় দিয়েছিল।

সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের দুই মাস পরে, ইউপিএ সরকার নির্দেশটি বাতিল করার জন্য একটি অধ্যাদেশ বা অর্ডিন্যান্স পাস করেছিল। কারণ, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে কংগ্রেসের মিত্র তথা আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের সাংসদপদ খারিজ হতে পারত। পাশাপাশি, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এবং রাজ্যসভার সাংসদ রশিদ মাসুদ সেই সময় একটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। আর, সাংসদ পদ খারিজের মুখে পড়েছিলেন। তাই, ইউপিএ সরকার সেই সময় অর্ডিন্যান্স বা অধ্যাদেশটি পাশ করেছিল বলে মনে করা হয়েছিল।

বিজেপি এবং বামপন্থী-সহ তৎকালীন বিরোধীরা এই অধ্যাদেশ বা অর্ডিন্যান্স নিয়ে মনমোহন সিং সরকার এবং কংগ্রেসের কঠোর সমালোচনা করেছিল। আর, দোষী সাব্যস্ত আইন প্রণেতাদের রক্ষা করার চেষ্টার অভিযোগ এনেছিল। এই অর্ডিন্যান্স বা অধ্যাদেশটি পাশ হওয়ার কয়েকদিন পরে, ২৭ সেপ্টেম্বর রাহুল দিল্লিতে দলের এক সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন। আজ এত বছর পরে সেই যুগান্তকারী রায়ের কারণেই সাংসদ পদ হারালেন রাহুল গান্ধি। এবার তিনি এবং তাঁর কংগ্রেস কী করে সেটাই দেখার।

যদি উচ্চ আদালত দোষী সাব্যস্ত হওয়ার উপর স্থগিতাদেশ দেয় তাহলে রাহুলের সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যেতে পারে। লক্ষণীয়ভাবে, স্থগিতাদেশ কেবলমাত্র ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ধারা ৩৮৯-এর অধীনে সাজা স্থগিত করা হতে পারে না, তবে দোষী সাব্যস্ত হওয়া স্থগিত হতে পারে। সিআরপিসির ৩৮৯ ধারার অধীনে, আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আদালত দোষীর সাজা স্থগিত করতে পারে। এটি আবেদনকারীকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার মতো। এর মানে গান্ধীর প্রথম আপিল হবে সুরাট দায়রা আদালতে এবং তারপর গুজরাট হাইকোর্টে।

সাংসদ পদ খারিজ কোন যুক্তিতে এবং কোনপথে মোকাবিলা

কোনও অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত একজন সাংসদের সাংসদপদ দুটি কারণে খারিজ হতে পারে। প্রথমত, যে অপরাধের জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, তা ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮ (১) ধারায় তালিকাভুক্ত হলে। এর মধ্যে কয়েকটি নির্দিষ্ট অপরাধ হল- দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার। ঘুষ দেওয়া অথবা এইজাতীয় অযাচিত প্রভাব- যা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে।

দ্বিতীয়ত, যদি কোনও আইন প্রণেতা অন্য কোনও অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন কিন্তু, দুই বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য সাজাপ্রাপ্ত হন। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮ (৩) ধারা অনুযায়ী, কোনও সাংসদ যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তবে তাঁর কম করে দুই বছরের কারাদণ্ড হলে ওই সাংসদকে অযোগ্য ঘোষণা করা যেতে পারে।

ধারা ৮(৪) বলে যে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার তারিখ থেকে ‘তিন মাস অতিবাহিত হওয়ার পরে’ সাংসদ পদ খারিজ হয়। এই সময়ের মধ্যে, গান্ধী হাইকোর্টে সাজার বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারেন। এই আইনে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হওয়া আটকানো যেত। কিন্তু, ২০১৩ সালে ‘লিলি থমাস বনাম ভারত সরকার’ মামলায় ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ধারা ৮ (৪) অসাংবিধানিক বলে বাতিল করেছে।

যার অর্থ হল, রাহুলকে শুধু আবেদন করলেই হবে না। উচ্চ আদালত থেকে নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ পেতে হবে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই স্থগিতাদেশ শুধুমাত্র ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৮৯ ধারার অধীনে সাজা স্থগিতই করতে পারে না। দোষী সাব্যস্ত হওয়াও স্থগিত করতে পারে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৮৯ ধারার অধীনে আবেদন বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আদালত শুধুমাত্র দোষীর সাজা স্থগিতই করতে পারে না। আবেদনকারীকে জামিনে মুক্তিও দিতে পারে।

কিভাবে এই আইন পরিবর্তন হয়েছে?
RPA এর অধীনে, ধারা ৮(৪) অনুসারে সদস্যপদ দোষী সাব্যস্ত হওয়ার তারিখ থেকে "তিন মাস অতিবাহিত হওয়ার পরে" কার্যকর হয়৷ ওই সময়ের মধ্যে সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট সাংসদরা। 'লিলি থমাস বনাম ভারত সরকার মামলায়' ঐতিহাসিক রায়ে, সুপ্রিম কোর্ট RPA-এর ৮(৪) ধারাকে অসাংবিধানিক বলে বাতিল করেছে।

rahul gandhi
Advertisment