রেল মন্ত্রক শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যায় ওড়িশায় দুর্ঘটনার মূল কারণ খুঁজে পেয়েছে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো ইঙ্গিত দিয়েছেন যে কেউ পয়েন্ট মেশিন পরিবর্তন করেছেন। যাকে বলা হয় ট্রাকের কনফিগারেশন। আর, তার জেরে এই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে, দুর্ঘটনার পিছনে এই হাতকে 'ত্রুটি' হিসেবে ধরা হবে? নাকি নাশকতার সম্ভাবনা বলা হবে? সেটা অবশ্য রেলমন্ত্রী পরিষ্কারভাবে জানাতে পারেননি। এর আগে রেল মন্ত্রক বাগনাগা বাজার স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছিল। কিন্তু, তাতে বিশদে কিছু বলেনি। এই পরিস্থিতিতে গোটা বিষয়টি তদন্তের পরই পরিষ্কার হবে। সেই সময় রেল মন্ত্রক বড় আকারে বিবৃতি দেবে বলেই আশা সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের।
রেলমন্ত্রী যা বলেছেন
রবিবার (৪ জুন) রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো বলেছেন, 'দুর্ঘটনার মূল কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। যারা এটি করেছে তাদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে। রেলের সেফটি কমিশনার শিগগিরি রিপোর্ট প্রকাশ করবেন। কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা-ও শিগগিরি সামনে আসবে।' কোনও নাশকতা ঘটেছে কি না, মন্ত্রী জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, 'এই বিষয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব না। সিআরএস তদন্তের আগে বলাটা ঠিক হবে না।'
আরও পড়ুন- জোটসঙ্গীকে ধর্মনিরপেক্ষ বলে বিজেপির কাঠগড়ায় রাহুল, কিন্তু কেন?
কোথায়, কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে?
দুর্ঘটনার স্থানটি ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহানাগা বাজার স্টেশনের একটু আগে। দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের খড়গপুর রেলওয়ে বিভাগের অংশ। তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল- তার মধ্যে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন বিপরীত দিকে যাচ্ছিল। আর, একটি পণ্যবাহী ট্রেন (মালগাড়ি) দাঁড়িয়ে ছিল। এর মধ্যে প্রথম ট্রেন, ১২৮৪১ আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস হাওড়ার শালিমার স্টেশন থেকে চলা শুরু করেছিল। ট্রেনটি চেন্নাইয়ের দিকে যাচ্ছিল। এটি খড়গপুর এবং বালাসোর অতিক্রম করেছিল। এর পরবর্তী স্টপেজ হত ভদ্রক। ট্রেনটি প্রায় ঠিক সময়েই চলছিল। সবকিছু ঠিক থাকলে সন্ধ্যা ৭.০১ নাগাদ বাহানাগা বাজারের (না থেমে) পাশ দিয়ে চলে যেত।