করোনাভাইরাস প্রকোপের মধ্যে যখন বহু মানুষ ঘরবন্দি, সে সময়ে নতুন খবর এসেছে। ইউরোপ ও আমেরিকা জুড়ে বিভিন্ন জানালা জুড়ে দেখা যাচ্ছে রামধনু আঁকা প্রতীক। মনে করা হচ্ছে, এর শুরু হয়েছিল ইতালিতে, যা বর্তমানে আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। একটি টুকরো কাগজে আঁকা এই রামধনু হয়ে উঠছে আশার প্রতীক, যা সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে আশার প্রতীকও হয়ে উঠছে।
বিবিসি জানিয়েছে, জানালার গায়ে হাতে তৈরি এই রামধনু দেখতে পাচ্ছে সেই সব দেশের শিশুরা, যেখানে এখনও সান্ধ্যভ্রমণের অনুমতি রয়েছে। এই সময়ে, তারা যখন বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে পারছে না, খেলতে যেতে পারছে না, সে সময়ে তাদের মধ্যে এক ধরনের গোষ্ঠী অনুভূতি তৈরি হচ্ছে। ফেসবুকের মত সোশাল মিডিয়ায় Chase the rainbow নামে অনলাইন গ্রুপও তৈরি হয়েছে, যেখানে এই অতিমারীর সময়ে মানুষকে উজ্জীবিত রাখার জন্য বিভিন্ন ফোটোগ্রাফ শেয়ার করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সংকটাবলী ছাড়াও রামধনুর রংকে যৌনতার ক্ষেত্রে বিভিন্নতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। রামধনু নিশান LGBTQ আন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। মনে করা হয়, ১৯৭৮ সালে, গিলবার্ট বেকার নামে এক সমকামী শিল্পী এটির ডিজাইন করেছিলেন। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা অনুসারে, বেকার পরে জানান তাঁকে এই প্রতীক তৈরির আবেদন জানিয়েছিলেন আমেরিকার প্রথম নির্বাচিত ঘোষিত সমকামী হার্ভে মিল্ক।
দক্ষিণ আফ্রিকার আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু রেনবো নেশন শব্দবন্ধটি চালু করেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্নতা বোঝাতে, নতুন করে সে দেশ শুরুর সময়ে। Giving Account of Faith and Hope in Africa বইতে তাঁকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। "হাতের দিকে তাকান, বিভিন্ন মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছে বিভিন্ন রং। আপনারা ঈশ্বরের রামধনু প্রতিনিধি। আপনাদের মনে থাকবে, বাইবেলে রামধনুকে শান্তিচিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। রামধনু উন্নয়নের প্রতীক। আমরা শান্তি, উন্নতি ও ন্যায় চাই, ঈশ্বরের প্রতিনিধিরা, ঈশ্বরের রামধনু প্রতিনিধিরা একযোগে কাজ করলে তা সম্ভব হবে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন