Advertisment

শ্রীরামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র তৈরি, এবার কী হবে?

বাবরি মসজিদ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যে পাঁচটি মামলা হয়েছিল, তার একটি করা হয়েছিল খোদ দেবতা শ্রীরামলালা বিরাজমনের হয়ে, আরেকটি করা হয়েছিল রামের জন্মস্থান অষ্টান শ্রীরাম জন্মভূমির হয়ে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
PM Narendra Modi

বুধবার লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অযোধ্যায় রাম মন্দির বানানোর জন্য ট্রাস্ট তৈরির ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে বলে লোকসভায় ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ট্রাস্টের নাম হবে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র এবং এ ট্রাস্টে ১৫ জন সদস্য থাকবেন। এই সদস্যদের মধ্যে একজন হবেন দলিত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ কথা জানিয়েছেন।

Advertisment

৯ নভেম্বর, সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যায় ভেঙে ফেলা বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির বানানোর অনুমতি দেয় এবং মসজিদ বানানোর জন্য উত্তর প্রদেশ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে ৫ একর জমি দেবার নির্দেশ দেয়।

লোকসভায় মোদী রাম মন্দির নির্মাণে সমর্থন দেবার জন্য সব সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, "রাম জন্মভূমি মামলার রায় বেরোনোর পর ভারতের মানুষ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ও বিচারব্যবস্থায় অসাধারণ আস্থা প্রদর্শন করেছেন। আমি ১৩০ কোটি ভারতবাসীকে সেলাম করছি।" প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, "ভারতে হিন্দু, মুসলিম, শিখ, বৌদ্ধ, পারসি, জৈন সকলেই এক পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। পরিবারের সকলের জন্য উন্নয়ন হওয়া উচিত।"

প্রথম ট্রাস্টিকে পিতামহ বলে ডাকা হয়

পরে তিনি টুইটারেও এ সম্পর্কিত পোস্ট করেন।

শ্রীরামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ব্যাপারটা কী?

বাবরি মসজিদ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যে পাঁচটি মামলা হয়েছিল, তার একটি করা হয়েছিল খোদ দেবতা শ্রীরামলালা বিরাজমনের হয়ে, আরেকটি করা হয়েছিল রামের জন্মস্থান অষ্টান শ্রীরাম জন্মভূমির হয়ে। দাবি করা হয়েছিল, আইন ভগবান ও জন্মস্থান দুয়েরই বিচারবিভাগীয় সত্তা হিসেবে আইনিভাবে স্বীকৃত।

আদালত জমি দিয়েছে রাম লালাকে, যে জমির দায়িত্বে থাকবে ট্রাস্ট। আদালত বলে দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে ওই ট্রাস্ট বানাতে হবে। সেই ট্রাস্টই হল শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র।

সুপ্রিম কোর্ট ট্রাস্টের ব্যাপারে কী বলেছিল?

২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট যখন রায় দান করে, সে সময়ে আদালত কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছিল তিন মাসের মধ্যে ১৯৯৩ সালের অযোধ্যা আইনের আওতায় কোনও ট্রাস্ট বা সে জাতীয় কিছু গঠন করতে, যার ক্ষমতাবলীর মধ্যে থাকবে মন্দির নির্মাণও।

আদালত একইসঙ্গে বলেছিল কেন্দ্র যে প্রকল্প রচনা করবে তাতে ট্রাস্ট কীভাবে কাজ করবে তার প্রয়োজনীয় বিধিও থাকতে হবে, তার মধ্যে থাকবে পরিচালনা সম্পর্কিত বিষয়, ট্রাস্টিদের হাতে যে ক্ষমতা থাকবে তার মধ্যে থাকবে, একটি মন্দির নির্মাণ এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ।

এ ছাড়া ট্রাস্ট অধিগৃহীত জমি ও বাইরের ও ভিতরের চবুতরার অধিকার পাবে, যার পরিচালনা ও উন্নয়নের দায়িত্বে থাকবে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র।

Ram Temple
Advertisment