সমস্ত ক্ষেত্রের সমস্ত ঋণগ্রহীতাদের স্বস্তি দিয়ে শুক্রবার ২৭ মার্চ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঘোষণা করেছে, ২০২০ সালের ১ মার্চ থেকে বকেয়া ঋণের ইএমআই স্থগিত করে দিতে পারে ব্যাঙ্কগুলি। এ ব্যাপারে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তবে হোম লোন, গাড়ির লোন, এবং অন্যান্য লোনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং তা গ্রাহকদের জানাবার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে ব্যাঙ্কগুলিই।
এর সুবিধা কারা পাবেন?
বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থা যাঁরা গৃহঋণ, গাড়িঋণ বা কর্পোরেট ঋণ নিয়েছেন, তাঁরা সকলেই এই পদক্ষেপের সুবিধা পাবেন। লকডাউনের ফলে তাঁদের আয় ও নগদ আমদানি কমার জন্য যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এই সিদ্ধান্তের ফলে তাঁরা তিন মাস কিছুটা স্বস্তি পাবেন।
এই সিদ্ধান্তের সুযোগ নিতে পারবে সমস্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কই। এর মধ্যে সমবায় ব্যাঙ্ক, গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, সর্ব ভারতীয় আর্থিক সংস্থা সকলেই রয়েছে। নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক সংস্থা, যেমন হাউজিং ফিমান্স কোম্পানি, মাইক্রো ফিনান্স কোম্পানি, এরাও এই সুবিধা পাবে।
আরও পড়ুন, কঠোর পদক্ষেপ না নিলে অনেক বাড়তে পারে সংক্রমণ, বলছে গবেষণা
মোরাটোরিয়ামের আওতায় কী কী পড়বে?
মূল ও সুদ, দুইই পড়বে এর আওতায়। মূলের কত অংশ এর আওতায় পড়বে তা নির্ভর করবে, ঋণ কতদিনের তার উপর।
গ্রাহকের সুবিধা কী হবে?
এর অর্থ হল আগামী তিন মাস যদি কেউ ঋণ পরিশোধ না করেন, তাহলে গ্রাহকের ক্রেডিট হিসট্রিতে তার ছাপ পড়বে না এবং তাঁদের অ্যাকাউন্ট নন পারফর্মিং অ্যাসেট হিসেবে গণ্য হবে না।
এটা ঋণগ্রহীতাদের কাছে বড় ছাড়, কারণ কোনও অ্যাকাউন্ট নন পার্ফর্মিং অ্যাসেট হিসেবে গণ্য হলে ব্যাঙ্ক বা ঋণদায়ী সংস্থা আদায়ের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত গ্রহণ করতে পারে।
সংস্থাগুলির কী সুবিধা হবে?
কর্পোরেট ইন্ডিয়ার কাছেও এটা একটা বড় স্বস্তির বিষয়। নগদ আমদানির প্রভাব পড়ে সব কোম্পানি বোর্ডেই, এদের অনেকেই ঋণশোধের অবস্থায় নাও থাকতে পারে কারণ ভারতে ব্যবসা এখন সম্পূর্ণ বন্ধ।
ব্যাঙ্কের কী হবে?
ব্যাঙ্ক ও ঋণদায়ী সংস্থাগুলির নগদ আমদানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তারণ আগামী তিন মাস তারা তারা ঋণ পরিশোধের দরুন অর্থ পাবে না বলেই ধরে নেওয়া যায়।
এর ফলে কি অর্থনীতি চাঙ্গা হতে পারে?
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এ সিদ্ধান্ত লকডাউনের জেরে ব্যক্তি ও সংস্থাগুলিকে আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে সুরক্ষা দেওয়া। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যদি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি এর সঙ্গে আরও কিছু আর্থিক সুবিধাদায়ী প্রকল্প নেয়, তাহলে ভাল হয়।